<![CDATA[
আগরতলা-আখাউড়া রেলপ্রকল্পে অধিগ্রহণকৃ জমির টাকা না পেয়ে রেললাইনের উপর বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে ভুক্তভোগী এক জমির মালিক।
রোববার (১৩ আগস্ট) আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় আখাউড়া-আগরতলা রেল প্রকল্পের শূন্য রেখার পাশে এই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন খারকোট এলাকার মৃত খোরশেদ মিয়ার ছেলে শাহানুর সরকার।
এলাকাবাসী জানায়, আজ রোববার দুপুরে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইনের ওপর বাঁশ ও গাছের ডালা ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন ভুক্তভোগী শাহানুর সরকার।
ভুক্তভোগী শাহানুর সরকার বলেন, আমি প্রবাস ফেরত একজন অসুস্থ মানুষ। আমি প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের সময় আমার শিবনগড় মৌজায় ১৬৮ দাগের সাড়ে ৮ শতক ও ১৬৫ দাগের সাড়ে ১৭শতক দুই দাগে মোট ২৬ শতক জমি রেলে অধিগ্রহণ করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ, ভোগান্তি
‘আমার জায়গা অধিগ্রহণের পর এত বছর পার হয়ে গেছে বর্তমানে রেলের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। কিন্তু আমার এই জায়গার মূল্য এখনো এক টাকাও পরিশোধ করেনি রেলের সংশ্লিষ্ট অধিদফতর। প্রায় পাঁচ মাস আমি অসুস্থ শরীল নিয়ে রেলের বিভিন্ন দফতর, বিভাগীয় অফিস ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আমার জমির পাওনা টাকার জন্য দৌড়ঝাঁপ করে যাচ্ছি। এতে কোনো সমাধান না পাওয়ায় আমি বাধ্য হয়ে আমার যতটুকু জমি রেলের মধ্যে পড়েছে সেই জায়গায় বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছি।’
তিনি আরও বলেন, সরকার বা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যদি আমার জমির মূল্য না দিয়ে ট্রেন চালানো শুরু করে তাহলে আমি এই রেললাইনে শুয়ে আমার জীবন দিয়ে দেব।
আরও পড়ুন: অধিগ্রহণ না করেই জমি দখলের অভিযোগ
এ ব্যাপারে আখাউড়া-আগরতাল রেল প্রকল্পের সিনিয়র সার্ভে ইঞ্জিনিয়ার মো. রিপন শেখ বলেন, আমরা যখন সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে রেল প্রকল্পে কাজ শুরু করি তখন উনার জমিটি অধিগ্রহণ হয়নি। সেই সময় থেকে তিনি ডিসি অফিস ও সার্ভে অফিসে অনেক দৌড়ঝাঁপ করছেন বলে শুনেছি । আর সে সময় সার্ভে ছিল আরেক জন। তখন উনাকে তারা আশ্বস্ত করেছেন, উনার জমি অধিগ্রহণ হবে এবং টাকাও পাবেন।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে জমির মালিক প্রবাসে চলে যায়। প্রবাস থেকে চার বছর পর যখন ফেরত এসে আবারও জমির টাকার জন্য দৌড়ঝাঁপ করে বিফল হন তখন তিনি আমাদের রেললাইনের উপর বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। আমি এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালকের সাথে কথা বলেছি, উনি বলেছেন উনার টাকা পরিশোধ করে দেওয়া হবে।
]]>