<![CDATA[
অবশেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে চালু হচ্ছে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস)। এরইমধ্যে ঢাকায় এসেছেন হকআই কোম্পানির টেকনিশিয়ানরা। হোম অব ক্রিকেট শের-ই-বাংলায় ডিআরএস ইন্সটলের কাজও শুরু করে দিয়েছেন তারা। বিগব্যাশ শেষ করে সরাসরি অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় পা রাখেন তিন টেকনিশিয়ান।
বিপিএল নবম আসরে লিগ পর্বে ডিআরএস না থাকায় সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। মাঠের খেলায় তৈরি হয় নানা বিতর্ক। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় অনেক ক্রিকেটারকে।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়ে আসছে, ব্যস্ত সূচি আর পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে শুরু থেকে ডিআরএস রাখা সম্ভব হয়নি। তবে প্লে অফ থেকে রাখা হবে ডিআরএস। সে কথাই রেখেছে বিসিবি। ডিআরএস পরিচালনায় হকআই কোম্পানি থেকে তিন টেকনিশিয়ান এখন ঢাকায়।
ডিআরএস ব্যবহার করা জন্য বিসিবিকে গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। ম্যাচ প্রতি আনুমানিক খরচ হবে ১৬ হাজার মার্কিন ডলার। সে হিসেবে চার ম্যাচের জন্য ব্যয় করতে হচ্ছে প্রায় ৬৪ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৬৫ লাখ। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে সব ম্যাচে ডিআরএস ব্যবহার করা হলে বিসিবির ব্যয় হতো প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামকে হারিয়ে দুই ধাপ এগোল রংপুর
প্লে-অফের তিন ম্যাচ আর ফাইনাল, মোট চার ম্যাচে থাকবে ডিআরএস। এর আওতায় থাকছে হকআই আর আল্ট্রাএজ প্রযুক্তি। রাউন্ড রবিন লিগে বেশ কয়েকটা ম্যাচে যে বিতর্ক হয়েছিল, প্লে অফে অন্তত সেটা আর হবে না সেই প্রত্যাশা করাই যায়।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিগব্যাশ। বুকিং অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় টুর্নামেন্ট শেষ করে বাংলাদেশে এসেছেন ডিআরএস পরিচালনার টেকনিশিয়ানরা। ডিআরএসের সরঞ্জামাদি আগেই পৌঁছেছে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের প্রডাকশন রুমে। ডিআরএস পরিচালায় ক্যামেরা ব্যবহার করা হয় ৬টা, সঙ্গে অপারেটর হিসেবে টেকনিশিয়ান দরকার অন্তত চারজন।
আরও পড়ুন: মাশরাফী-হৃদয়দের নিয়ে কী বললেন আমির
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শেষ হবে বিপিএল নবম আসরের রাউন্ড রবিন লিগের খেলা। প্লে অফে শুরু হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। একই দিনে হবে এলিমিনিটর, আর কোয়ালিফায়ার ওয়ান। একদিনের বিরতি দিয়ে হবে কোয়ালিফায়ার টু। ১৬ ফেব্রুয়ারি ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে বিপিএল নমব আসরের।
]]>