<![CDATA[
চাঁদাবাজি-হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত অবৈধ আইপিটিভি, ইউটিউব চ্যানেল, ক্যাবল টিভির বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছে টেলিভিশন স্টেশন মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব টেলিভশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) অ্যাটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী স্বাক্ষরিত অভিনন্দন পত্রে বলা হয়, ‘আপনি (তথ্যমন্ত্রী) অবগত আছেন যে, অবৈধ আইপিটিভি, ইউটিউব চ্যানেলগুলোর কোনো নিবন্ধন নাই। দীর্ঘদিন ধরে এই চ্যানেলগুলো জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা এবং অনলাইনে গণমাধ্যম নীতিমালা লঙ্ঘন করে মানহীন তথ্য ও কনটেন্ট সম্প্রচার করে আসছিলো। যা দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত সব শ্রেণির দর্শককে বিভ্রান্ত করছে এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে তুলছে।
অতএব অবৈধ আইপিটিভি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য আটকোর পক্ষ থেকে আপনাকে এবং সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে জানাই অন্তরিক অভিনন্দন।’
এর আগে আইপিটিভি, ইউটিউব চ্যানেল, ক্যাবল টিভির বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য সরকারকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশের সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে ও টেলিভিশন গণমাধ্যমকর্মীদের শীর্ষ সংস্থা ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি।
নেতারা বলেন, দেশে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালায় আইপিটিভি, ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করা যাবে না- এটি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও প্রচলিত আইন ও নীতিমালার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যক্তিগত হীন স্বার্থ চরিতার্থে কিছু আইপিটিভি ও ইউটিউব চ্যানেল সাংবাদিকতার নামে মানুষের চরিত্র হনন, হুমকি প্রদানসহ নানা অপরাধমূলক তৎপরতায় লিপ্ত।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪ সাংবাদিক পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার
এদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সব জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে তারা বলেন, ‘আমরা সারাদেশে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানাই।’
পাশাপাশি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকেও অসত্য তথ্য প্রদানকারী, গুজব রটনাকারী ও অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধেও দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বিএফইউজে ও ডিইউজে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন এ বিষয়ে এক পত্রে সব জেলা প্রশাসককে দেয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার ম্যাজিস্ট্রেটরা দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করছেন। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৫ জুন চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ এবং হিমাদ্রী খীসা বন্দরনগরীতে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সি-প্লাস টিভি, সি-ভিশন, ২৪ টিভি ও এসবিটিভি নামের অনুমোদনহীন চারটি আইপিটিভির অফিস সিলগালা করেন।
]]>