Skip to content

অসুস্থ হালদাকে বাঁচাবে কে? | সময় স্পেশাল

অসুস্থ হালদাকে বাঁচাবে কে? | সময় স্পেশাল

<![CDATA[

হালদা নদী আমাদের জল থেকে মাছ কী দেয়নি? কিন্তু এর বিপরীতে আমরা দিয়েছি বর্জ্যসহ নানান দুঃখ। সেসব দুঃখ কয়েকগুণ করে ফিরে দিতে বাধ্য হচ্ছে হালদা। ফলে বেড়েছে লবণাক্ততা, তৈরি হয়েছে কয়েক লাখ মানুষের সুপেয় পানির তীব্র সংকট। একই সঙ্গে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্রের সম্ভাবনা পড়েছে হুমকির মুখে। হালদা গবেষকরা বলছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসা, নদী রক্ষা কমিশন ও জেলা প্রশাসন যদি সমন্বিত পদ্ধতিতে কাজ করে এ সমস্যার লাগাম টানে, তাহলে মুক্তি। অন্যথায় হালদার জীবন ঝুঁকি রয়েছে।

বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তন, বাংলাদেশের আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব, বর্জ্য ডাম্পিং ও বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়হীন উন্নয়নসহ নানান অনিয়মে হালদার প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। কিন্তু এ প্রাণ সংশয়ের সূচনা কোথায়! 

 

হালদার প্রাণ সংশয়ের সূচনা পর্ব 

প্রায় শতবছর আগে হালদার বয়ে চলার রূপরেখা ছিল বিশ্বের নদ-নদীগুলোর মাঝে অনন্য। সাপের মতো বাঁক নিয়ে হালদার চলাচল ছিল। পূর্ব মাদার্শা গ্রামকে ঘিরে ৮ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে ছিল হালদার মনহরা সেই বাঁক।

 

কিন্তু সে বাঁক সইল না স্থানীয় কৃষকদের। কেননা ভারি বৃষ্টি হলেই নদীর এ বাঁকের কারণে পানি নামত ধীরগতিতে, আর এতেই তলিয়ে যেত নদীর ভাটি অঞ্চলসহ দুই তীরের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। এ ছাড়া তৎকালীন সময়ে যাতায়াতের একমাত্র নদীপথেও পাড়ি দিতে হতো অতিরিক্ত ৮ কিলোমিটার পথ। যদিও আড়াআড়িভাবে এ পথের দূরত্ব মাত্র আধ কিলোমিটার। 

 

সে দুর্ভোগ লাগবে গ্রামবাসী বাড়িঘোনা বাঁকটি কেটে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাদের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন তৎকালীন স্থানীয় জমিদার রামকৃষ্ণ মহাজন। পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকেও বৈজ্ঞানিক কারণ দেখিয়ে বাঁক কাটার বিরোধিতা করা হয়। 

 

১৯৪৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরে গ্রামবাসী বাঁক কাটতে এগিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় জমিদার ও পাকিস্তান পুলিশ। এলাকাজুড়ে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। গ্রামবাসী সে ধারা ভঙ্গ করে বাঁক কাটতে শুরু করলে গুলি চালায় পুলিশ। স্থানীয়দের হিসেবে ওইদিন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে অন্তত ৩৮ জন। সরকারি হিসেবে এ সংখ্যা ১০ জন। বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে কাটা নদীর সেই অংশকে নামকরণ করা হয় ‘শহীদ খাল’। 

 

সেদিন কৃষকরা ফসল বাঁচাতে গিয়ে রক্ত ঝরিয়েছে ঠিকই কিন্তু একই সঙ্গে হালদাকে ঠেলে দিল সংশয়ের দিকে। 

আরও পড়ুন: রূপসী বাংলা, পর্ব-২ /নদী দখলদারের হাতের দৈর্ঘ্য কত 

পরবর্তীতে ১৯০৫ সাল থেকে ২০০২ সালের মধ্যে স্থানীয় মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের সুবিধার্থে হালদার ১১টি বাঁক কেটে সোজা করে ফেলেছে। ফলে হালদা হারালো তার অনন্য সর্পিল বৈশিষ্ট্য। শুরু হলো বাকি অনেক নদীর মতো সরলপথে প্রবাহিত হওয়া। এতে হালদা দৈর্ঘ্য কমেছে ২৫.২৫ কিমি। 

 

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের জন্য মানবসৃষ্ট ১০টি কারণের অন্যতম হিসেবে গত ১০০ বছরে ১১টি বাঁক কেটে দেয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এর সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মৎস প্রজননের ওপর।

 

কার্পজাতীয় মাছের ডিম পাড়ায় এত ভয় কেন 

দেশের একমাত্র মৎস প্রজননকেন্দ্রে ডিম পাড়ার হার দিনকে দিন হুমকির মুখে। ডিম পাড়ার উপযুক্ত পরিবেশ নষ্ট করে তো মাছের কাছে ডিম আশা করা যায় না। বাঁক কেটে নদীর আয়তন কমানো, প্রতিকূল আবহাওয়া, লবণাক্ততাসহ নানান কারণে ডিম পাড়ার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে প্রায়। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৪৫ সালে হালদা থেকে ডিম সংগ্রহ করা হয়েছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার কেজি। কিন্তু ২০২১ সালে এসে সেটা কমে ডিম সংগ্রহ হয়েছিল মাত্র ৮০০০ কেজি। তবে এর মাঝে যখনই অনকূল পরিবেশ পাওয়া গেছে তখন ডিম সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে। যেমন ২০২০ সালে ডিম সংগ্রহ হয়েছিল ২৫,৫৩৬ কেজি। চলতি বছর তীব্র দাবদাহে মাছের ডিম ছাড়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান হালদা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘ডিম ছাড়ার বিশেষ সময়কে স্থানীয়রা ‘জো’ বলে। এই জো এর সময় প্রচণ্ড বজ্রপাতসহ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের ফলে হালদা নদীর বাঁকগুলোতে পানি ঘোলা ও খরস্রোতা হয়ে ফেনা আকারে প্রবাহিত হয় এবং নদীর বাঁকে ভৌত-রাসায়নিক ফ্যাক্টরগুলো সৃষ্টি হলে ও তাপমাত্রা অনুকূলে অর্থাৎ ২৫-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে ডিম ছাড়ে কার্পজাতীয় মা মাছ। সাধারণত চৈত্র থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে পূর্ণিমা-অমাবস্যার তিথিতে বজ্রসহ বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঢল নামে হালদা নদীতে। কিন্তু এবার সেটা লক্ষ করা যায়নি। ফলে মা মাছ ডিম ছাড়ছে না।’ 

 

তিনি আরও বলেন, ‘এবার লবণাক্ততা আরও বেড়েছে এবং তীব্র তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় এমনটা হয়েছে। এখন ডিম ছাড়ার চতুর্থ জো চলছে, ২২ মে এ জো শেষ হবে। এরই মধ্যে নমুনা ডিম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। যদিও সেটা আশানুরূপ নয়। তবে সামনে আরও দুটি জো আছে, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সে দুটি জোতে ডিম ছাড়বে বলে আশা করছি। আপনাকে আরেকটা বিষয় বলে রাখি, সমন্বিত নদী ব্যবস্থাপনা বলতে যেটা বুঝায়, হালদা নদীতে সে কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ফলে আমরা সামনের জোতে সম্ভাবনার কথা ভাবতে পারি।’ 

 

হালদায় মৎস্য আহরণ

 

হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলামও প্রতিকূল আবহাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। 

 

সুপেয় পানির সংকট আরও তীব্র হয়ে আসছে

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাড়ছে তাপমাত্রা ও সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে হালদায় বাড়ছে লবণাক্ততা। এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির তথ্যানুসারে, হালদার উজানে ৩টি বাঁধ আর ১৯টি সংযোগ খালে ১৮টি স্লুইসগেটের কারণে ৩৫ শতাংশ উজানের পানি আসতে পারছে না। এর প্রভাবে লবণাক্ততা বেড়েই চলছে। 

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির তথ্যানুসারে চলতি ডিম ছাড়ার মৌসুমে হালদায় লবণাক্ততার পরিমাণ প্রতি লিটারে ৩ হাজার মিলিলিটার। যেখানে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী প্রতি লিটার পানিতে ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ মিলিগ্রাম লবণ থাকলে তা পান করা যায়। ফলে সুপেয় পানির সংকটে চট্টগ্রামবাসী। 

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, এক কলসি পানির জন্য সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকার বাসিন্দাদের। দিনে একবারই বিকেল ৪টা থেকে মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করতে হয় তাদের। যার জন্য কলসিপ্রতি ১৫ টাকা করে গুনতে হয়। 

 

সালেহা বেগম নামে এক নারী জানান, গত দুই মাস ধরে পানির জন্য কষ্ট করছি। বাসায় পানি আসে না। এখন পানি কিনে খেতে হচ্ছে। যেটুকু পানি আসছে, তাতে লবণের পরিমাণ এত বেশি যে সে পানি খেলে নানান রোগবালাই দেখা দিচ্ছে। 

 

এ বিষয়ে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘প্রতিদিন জোয়ারের সময় অন্তত ৬ ঘণ্টা এ উৎস থেকে পানি উত্তোলন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মুষলধারায় বৃষ্টি ছাড়া সমাধানের কোনো পথও নেই। বৃষ্টি না হওয়ায় কাপ্তাই লেকে পানি অস্বাভাবিক কমে গেছে। এতে শ্যাওলাযুক্ত পানির পাশাপাশি হালদার পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় দুই পানি শোধনাগার থেকে পানির উৎপাদন কমে গেছে। ফলে রেশনিং করে পানি সরবরাহ করায় বিভিন্ন এলাকায় সংকট তৈরি হচ্ছে।’ 

 

তিনি আরও বলেন, ‘লবণাক্ততা ফলে ১০ লাখ মিটার পানির উৎপাদন কমে কমে গেছে। এতে ওয়াসার লাইনে পানি যাচ্ছে না।’ 

 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান হালদা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘চট্টগ্রামের ৭০ লাখ বসবাসকারীর সুপেয় পানির একমাত্র ভরসা হালদা নদী। লবণাক্ততার বৃদ্ধির পরিমাণ ঠেকানো না গেলে এসব মানুষ ভয়াবহ পানি সংকটে পড়বে। এবং এরইমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। টাকা দিয়েও পানি মিলছে না। পাশাপাশি মা মাছের ডিম ছাড়ার পরিমাণ তলানিতে ঠেকবে।’

 

ডলফিন বাঁচবে তো?

পানি সংকট ও মৎস সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যের অন্য শাখায়ও বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তৈরি হচ্ছে ডলফিনের মৃত্যুকূপে। ২০১৮ সালের এক বেসরকারি জরিপে দেখা গেছে, হালদা নদীতে পরিবেশ নির্দেশক ডলফিনের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭০টি। উপজেলার সর্তার খালের মুখ থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা এসব ডলফিনের মূল বিচরণক্ষেত্র। তবে উদ্বেগজনক হলেও সত্য যে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত ৩৭টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া। 

আরও পড়ুন: রূপসী বাংলা, পর্ব-১ /বাংলাদেশ কি নদীশূন্য হওয়ার পথে? 

তিনি বলেন, ‘ডলফিন পরিবেশ নির্দেশক প্রকৃতির খুব উপকারী একটি প্রাণী। এরা কারও কোনো ক্ষতি করে না। তবু শুধু হালদা নদীতেই ৩৭টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটা হালদা নদীর জন্য অশনিসংকেত। তবে আশার বিষয়, আদালত বিপন্ন প্রজাতির এ ডলফিন রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। উচ্চ আদালতে নির্দেশনা, স্থানীয় প্রশাসনের ৯টি প্রস্তাবনা এবং সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা থাকলে হালদায় অতি বিপন্ন প্রজাতির পরিবেশ নির্দেশক ডলফিনগুলোকে ঠিকিয়ে রাখা সম্ভব।’ 

 

হালদার সুস্থতার উপায় কী?

সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীন উন্নয়ন প্রকল্প যেমন রাবার ড্যাম, বালির বস্তা ও ব্লক, বিভিন্ন স্থানে স্লুইসগেট এই নদীকে ধ্বংসের প্রান্তে নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে নদীর তীরে বিভিন্ন শিল্পকারখানা এবং হাটজারীর ১০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট এই নদী দূষণের জন্য দায়ী। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে, সমন্বিত নদী ব্যবস্থাপনায় হালদা সুস্থতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। 

 

হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘সমন্বিত নদী ব্যবস্থাপনায় জোর দিতে হবে, সেটা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে কর্ণফুলীকে এ সমন্বিত প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। কারণ কর্ণফুলী ছাড়া হালদাকে প্রাণ দেয়ার সুযোগ নেই।’ 

 

হালদাকে সময় দিতে হবে, যাতে করে প্রাকৃতিক সমন্বয় করার সুযোগ পায়। এ ছাড়া লবণাক্ততা কমাতে নদীর উজানের রাবার ড্যাম অপসারণ ও কাপ্তাই লেক থেকে বেশি পরিমাণে পানি ছাড়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। 

 

এদিকে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর রুই জাতীয় মাছের মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। ওইদিন থেকে এ নদী সংরক্ষণে ১২টি শর্ত কার্যকর করা হয়। 

আরও পড়ুন: সিলেটে নদী দখলের মহোৎসব  

এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হলো- হালদা নদী থেকে কোনো প্রকার মাছ ও জলজপ্রাণী ধরা বা শিকার করা যাবে না। কোনো অবস্থাতেই নদীর বাঁক কেটে সোজা করা যাবে না। হালদা নদী এবং এর সংযোগ খালের ওপর নতুন করে রাবার ড্যাম এবং কংক্রিট ড্যাম নির্মাণ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ তদারকি কমিটির  অনুমতি ছাড়া হালদা নদীতে নতুন পানি শোধনাগার, সেচ প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করা যাবে না। নদীর ভূমি ও পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট হয় এমন সব কাজ করা যাবে না। নদীর চারপাশের বসতবাড়ি, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পয়ঃপ্রণালী সৃষ্ট বর্জ্য ও তরল বর্জ্য নির্গমন করা যাবে না। হালদা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ১৭টি খালে প্রজনন মৌসুমে (ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই) মৎস্য আহরণ করা যাবে না। 

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, হালদা সংরক্ষণে প্রণীত শর্তগুলো কার্যকর করার মাধ্যমে হালদার প্রাণ রক্ষা সম্ভব।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *