<![CDATA[
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) উপরেজিস্ট্রার পদে একাধিক নিয়ম ভেঙে নিয়োগের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট উপরেজিস্ট্রার পদে এক মাসের স্থগিতাদেশের পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে আদালতকে জানাতে রুল জারি করেছেন।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ ও রুল জারি করেন।
২০২১ সালের ১০ আগস্ট উপ রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে একাধিক প্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বাছাই বোর্ড কাওসার হাওলাদারকে সরাসরি নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে এবং এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে দু’জন প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও ফারজানা ইসলামকে আপগ্রেডেশনের জন্য সুপারিশ করে। আর ২৮ তম রিজেন্ট বোর্ড শূন্য পদের বিপরীতে কাওসার হাওলাদারের নিয়োগ অনুমোদন করে।
কিন্তু দেখা যায় আপগ্রেডেশন প্রাপ্ত দু’জন প্রার্থীর ক্রম নিয়োগ বাছাই বোর্ডের সুপারিশের ক্রম অনুযায়ী হয়নি। ওই সংখ্যা পরিবর্তন করে ১ নং এর জায়গায় ২ নং এবং ২নং এর জায়গায় ১নং দিয়ে অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবির ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্বর্ণপদক দেয়ার রেকর্ড
পরবর্তীতে ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৯ তম রিজেন্ট বোর্ড কাওসার হাওলাদার এর নিয়োগ বাতিল করে অভ্যন্তরীণ প্রার্থী ফারজানা ইসলামকে শূন্য পদের বিপরীতে সরাসরি নিয়োগ প্রদান করে। অথচ শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ প্রদান করতে হলে একটি নিয়োগ বাছাই বোর্ড অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং উক্ত বাছাই বোর্ডকে প্রার্থীর নাম সুপারিশ করতে হবে। একই সাথে এ বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ড ও নিয়োগ বাছাইবোর্ড ঐক্যমতে না পৌঁছালে বিষয়টি চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতির কাছে চলে যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৩২ (৩) নং ধারায় উল্লেখ আছে।
এ বিষয়টি সম্পূর্ণ অমান্য করার অভিযোগে রিট করা হলে আদালত আমলে নিয়ে রুল জারি করেন। একই সাথে উপরেজিস্ট্রার পদটিতে এই সময়টিতে স্থগিতাদেশ দেন।
এদিকে ফারজানা ইসলামের নিয়োগপত্রে দেখা যায় ২৮ তম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় ৬ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে। তবে ৬ নং সিদ্ধান্তে ফারজানা ইসলামের পরিবর্তে কাওসার হাওলাদারের নাম পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, রিজেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব।
এ বিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমানের সাথে সরাসরি দেখা করলেও কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। একইভাবে বিষয়টি নিয়ে চুপ আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ. কিউ এম মাহবুব। ফোন করা হলে তিনিও এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
]]>