<![CDATA[
তুরস্কে আগামী সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে এই নির্বাচনে আগেই ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রবাসী তুর্কিরা। মূলত ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে থাকা প্রবাসীরা আগাম ভোট দিচ্ছেন।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটির প্রতিবেদন মতে, তুরস্কের আসন্ন প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে গত সপ্তাহে ইউরোপের দেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এরই মধ্যে কিছু দেশে ভোটগ্রহণ শেষও হয়েছে। মঙ্গলবার (০৯ মে) আরও কিছু দেশে ভোটগ্রহণ শেষ হবে।
তুরস্কে আগামী রোববার (১৪ মে) ভোট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এবারের নির্বাচনে ২৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। ভোটাররা চার জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্যে একজনকে বেছে নেবেন। নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
এরদোয়ানের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন প্রধান বিরোধী নেতা কামাল কিলিচদারোগলু। এছাড়া আরও দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলেন মুহাররেম ইনসি ও সিনান ওগান। পাশাপাশি ৬০০ সদস্যের পার্লামেন্ট আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: এরদোয়ানের জনসভায় ১৭ লাখ মানুষ!
তুরস্কের নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম ইলেকশন বোর্ডের (ওয়াইএসকে) তথ্য অনুসারে, রোববার পর্যন্ত বিদেশে বসবাসকারী ১৬ লাখেরও বেশি তুর্কি নাগরিক নতুন প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে তাদের ভোট দিয়েছেন।
যেসব দেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে আলবেনিয়া, বেলারুশ, বেলজিয়াম, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, কসোভো, লিথুয়ানিয়া, মাল্টা, মলডোভা ও মন্টিনিগ্রো।
এছাড়া তালিকায় আরও রয়েছে, নর্থ মেসিডোনিয়া, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্যে গত ২৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে রোববার (০৭ মে) পর্যন্ত। দেশটির লন্ডন, ম্যানচেস্টার, এডিনবার্গ ও লিসেস্টার শহরে নিবন্ধিত প্রায় এক লাখ ২৭ হাজার তুর্কি প্রবাসী ভোটার ব্যালট বাক্সে তাদের ভোট দিয়েছেন। মূলত দেশগুলোর তুর্কি কূটনৈতিক মিশনে স্থানীয় সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিরোধীদের সমর্থন / যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চরম শিক্ষা’ দিতে চান এরদোয়ান
যুক্তরাষ্ট্রে রাজধানী ওয়াশিংটনে তুর্কি দূতাবাসের পাশাপাশি নিউইয়র্ক, বোস্টন, শিকাগো, হিউস্টন, মিয়ামি ও লস অ্যাঞ্জেলেসের কনস্যুলেটসহ কূটনৈতিক মিশনগুলোতে গত ২৯ এপ্রিল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে রোববার (০৭ মে) পর্যন্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় শনিবার (০৬ মে)। চলে রোববার (০৭ মে) পর্যন্ত। দেশটির প্রিটোরিয়া ও কেপটাউন শহরে অন্তত ১ হাজার ৩৯২ জন নিবন্ধিত ভোটার ব্যালট বাক্সে ভোট দিয়েছেন। অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও লুক্সেমবার্গে গত সপ্তাহেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে মঙ্গলবার (০৯ মে) রাত পর্যন্ত।
]]>