<![CDATA[
রাষ্ট্রীয় নথি গোপন করার মামলায় শুনানিতে অংশ নিতে মিয়ামির ফেডারেল আদালতে হাজির হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে আদালতে হাজির হয়ে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার ওই আদালতে আত্মসমর্পণ করলে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার দেখিয়ে কাঠগড়ায় তোলা হয়।
ট্রাম্প আদালতে প্রবেশের পর বিচারক জনাথন গুডম্যান সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনা ৩৭টি অভিযোগ পড়ে শোনান। তবে অভিযোগ শোনার পর ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
এর আগে এই মামলায় আদালতে হাজির হতে স্থানীয় সময় সোমবার (১২ জুন) মিয়ামিতে পৌঁছান ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ‘ফেডারেল অপরাধে’ অভিযুক্ত ট্রাম্প
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে নিজস্ব বিমানে করে মিয়ামিতে পৌঁছান।
মিয়ামিতে আসার জন্য যা নিউ জার্সি থেকে যাত্রা করার আগে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি আশা করি, গোটা দেশই দেখতে পাচ্ছে যে, কট্টর বামপন্থিরা আমেরিকার সঙ্গে কি করছে।’
এদিকে জরিপ সংস্থা ইপসস এবং বার্তা সংস্থা রয়টার্সের নতুন জরিপ থেকে দেখা গেছে, বেশিরভাগ রিপাবলিকান সমর্থক মনে করেন যে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পাশাপাশি ২০২৪ সালের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থীদের বিপরীতে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ধসে পড়ল মহাসড়কের একাংশ
জরিপ অনুসারে ৮১ শতাংশ রিপাবলিকান সমর্থক মনে করেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই এই মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া, ৪৩ শতাংশ স্ব-স্বীকৃত রিপাবলিকান সমর্থক ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাদের পছন্দের প্রার্থী বলে বেছে নিয়েছেন। বিপরীতে ২২ শতাংশ সমর্থক বেছে নিয়েছেন রন ডিস্যান্টিসকে।
রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি অবৈধভাবে নিজের কাছে রাখা এবং সেগুলো গোসলখানায় রেখে দেওয়ার মতো অব্যবস্থাপনাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে।
]]>