<![CDATA[
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
এর পর রাতে বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, লিভার সংক্রমণসহ পুরানো বেশকিছু সমস্যার উপসর্গ আবার দেখা দেয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। বেশ কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী করণীয় কী হবে। হাসপাতালে কত দিন থাকবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না৷ দেশে যতটুকু সম্ভব ততটুকুই চিকিৎসা করা হচ্ছে। তবে তার শারীরিক জটিলতা ও বয়স বিবেচনায় দ্রুত দেশের বাইরে চিকিৎসা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বেগম জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রাতে তিনি হাসপাতালে থাকবেন।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এরপর তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য চিকিৎসকরা হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন।
গত ১২ জুন মধ্যরাতে অসুস্থ বোধ করায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৭ জুন সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে নিজ বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া হাসপাতালে
৭৮ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছর এভারকেয়ারে ভর্তির পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে আছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি মেলার পর থেকে তিনি গুলশানের বাসাতেই থাকছেন।
সবশেষ গত ২৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
]]>