<![CDATA[
বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তার অভিযোগ, ভোট গণনায় অনিয়ম হয়েছে। তিনি বলেন, সবাই আমাকে ভোট দিয়েছে, আমার এত ভোট গেলো কই?
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদরের এরুলিয়ায় বানদিঘী গ্রামে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সারাদেশের মানুষ তার পক্ষে ছিল জানিয়ে হিরো আলম বলেন, আজ সারা বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল, হিরো আলমের কী হবে? আমার গর্বে বুক ভরে গেছে। আজকের নির্বাচনে মনে হয়েছে, আমি প্রধানমন্ত্রীর ভোট করলাম।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে হারিয়ে বিজয়ী রেজাউল করিম
কারচুপির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ভোটের ফলাফল সবাই জানেন। আমাদের নন্দীগ্রাম যখন ফলাফল ঘোষণা করা হয়, সেখানে ৪৯ কেন্দ্র। সবাই বলেছেন আপনি পাস করেছেন। ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন। আমার এত ভোট গেলো কই? নির্বাচন কর্মকর্তা ৩৯ ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা দিয়ে থেমে যান। এরপর সরাসরি বাকি ১০ কেন্দ্রে তানসেন জয়ী বলে ঘোষণা দেন। এই ১০ কেন্দ্রেই ফলাফল কারচুপি করা হয়েছে।
‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব বলেছে- আপনি জিতেছেন। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগের লোকজন বলছে, মশাল জিতে গেছে, এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। আওয়ামী লীগের লোকজনও আমাকে ভোট দিয়েছেন। দল নয় আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। ওই ভোটগুলো গেলো কই? এই ফলাফল আমি মানি না।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে উকিল আব্দুস সাত্তার বিজয়ী
ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এসব অনিয়মের বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেইনি। তবে ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যাব। ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা বাদ দিয়েই ফলাফল দিয়েছে প্রশাসন। এই কেন্দ্রগুলোতে আমি কত ভোট পাইলাম তা জানানো হলো না আমাকে।
এদিন বগুড়া-৪ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মশাল প্রতীকে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন মহাজোট প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।
]]>