<![CDATA[
ইংল্যান্ডের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের সামনে নাজেহাল অবস্থা আফগানিস্তানের। টপঅর্ডার থেকে মিডলঅর্ডার, দলের সব ব্যাটারই ভুগেছে ইংলিশদের বিপক্ষে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সব কটি উইকেট হারিয়ে তারা করেছে মাত্র ১১২ রান।
ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিং আর নিজেদের পরিকল্পনার অভাবে অল্প রানে ইনিংস গুটিয়ে গেল আফগানিস্তানের। ইংল্যান্ডের পেস তোপ তো ছিলই, প্রচুর ডট বলও খেলেছে এশিয়ার দেশটি, পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাটিংয়ের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি তারা। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যটা দাঁড়াল মাত্র ১১৩ রানের।
পার্থ স্টেডিয়ামে শনিবার (২২ অক্টোবর) বেন স্টোকস ও ক্রিস ওকসের দুটি ‘টাইট’ ওভার শেষে দলীয় তৃতীয় ওভারে উইকেটের দেখা পান মার্ক উড। তার করা কোমরসমান উঁচু দিয়ে আসা বলে ব্যাট ছুঁয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দেন আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৯ বলে তিনি করেন ১০ রান। ওই ওভারে একটি উইকেট নিয়ে উড খরচ করেন মাত্র ৪ রান।
আরও পড়ুন: সাকিবের আচরণে ক্ষুব্ধ প্রবাসী বাংলাদেশিরা
ইংল্যান্ডের বুদ্ধিদীপ্ত ও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লে-টা দুর্বিষহ হয়ে যায় আফগানিস্তানের। পাওয়ার প্লে-র ৩৬ বলে তারা তোলে মাত্র ৩৫ রান। সপ্তম ওভারে আবার হারায় হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট। বেন স্টোকসের বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি, দৌড়ে এসে অনেকটা অসম্ভব সেই বল তালুবন্দি করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ১৭ বলে মাত্র ৭ রান করেন জাজাই।
এরপর ইব্রাহিম জাদরান, উসমান গনিরা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি। জাদরান ৩২ বলে ৩২ রান করে স্যাম কুরানের শিকার হন। নাজিবউল্লাহ জাদরান ১১ বলে করেন ১৩ রান। কাজের কাজ করতে পারেননি দলপতি মোহাম্মদ নবিও। ৫ বলে ৩ রান করে মার্ক উডের বলে বাটলারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাব্বিরকে দলে নেয়া ভুল ছিল, ইমরুলকে নেয়া যেত: আশরাফুল
বাকিদের মধ্যে উসমান গনি ৩০ ও আজমতউল্লাহ জাজাই ৮ রান করেন। রশিদ খান ও মুজিব আউট হন শূন্য রানে। ফরিদ করেন ২ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে স্যাম কুরান নেন ৫ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন বেন স্টোকস ও মার্ক উড। একটি উইকেট পান ক্রিস ওকস।
]]>