<![CDATA[
ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে অস্থায়ীভাবে নিজেদের দূতাবাস সরিয়ে নিয়েছে সুইডেন। পবিত্র কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে দূতাবাসে হামলার পর দূতাবাস সরিয়ে স্টকহোমে নেয়া হয়েছে। সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (২১ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সম্প্রতি সুইডেনে একটি মসজিদের সামনে পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে একদল আন্দোলনকারী। পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষেই এমন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড ঘটে। সুইডেন প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ওই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে মুসলিম বিশ্ব।
ওই ঘটনায় তুরস্ক, পাকিস্তান ও সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কাউন্ট্রিজও (ওআইসি)। শুধু তাই নয়, কোরআন অবমাননার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।
এরপরও চলতি সপ্তাহে সুইডেনে নতুন করে আবারও কোরআন পোড়োনোর অনুমতি দেয় দেশটির পুলিশ। সুইডিশ নিউজ এজেন্সি টিটি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টকহোমে ইরাক দূতাবাসের বাইরে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) এক গণজমায়েতের আবেদনে অনুমোদন দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননা /সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করল সৌদি-কাতার
এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভোরে বাগদাদের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত সুইডেনের দূতাবাসে দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এক পর্যায়ে সেখানে আগুনও ধরিয়ে দেয় বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দূতাবাসে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ইরাক। এছাড়া সুইডেনে নিযুক্ত ইরাকি রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি।
রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের পরই দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সুইডেন। শুক্রবার (২১ জুলাই) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘নিরাপত্তার কারণে দূতাবাসের কার্যক্রম এবং দূতাবাস কর্মীদের সাময়িকভাবে স্টকহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।’
সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রম বলেছেন, দূতাবাসে হামলা ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ এবং তার সরকার কোরআন বা অন্য কোনো পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: আমিরাতের সঙ্গে ৫০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর এরদোয়ানের
তিনি আরও বলেন, সুইডিশ সরকার উপলব্ধি করেছে, সুইডেনে বিক্ষোভকালে কিছু ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত ঘৃণ্য কাজ মুসলিমদের কাছে আপত্তিকর হতে পারে।’
]]>