<![CDATA[
ইরানে পুলিশি হেফাজতে তরুণী মৃত্যুর প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভ পশ্চিমাদের মদতেই হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। আর এ ঘটনায় সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরই মধ্যে ইরানকে শাস্তি দিলে ইউরোপের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই ইরানজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, হিজাব ইস্যুতে নির্যাতন করায় মৃত্যু হয়েছে মাহসার। এ ঘটনায় দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভে এরই মধ্যে দেড় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
চলমান বিক্ষোভের শুরু থেকেই পশ্চিমারা মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে ইরান সরকার। বুধবারও (১২ অক্টোবর) দেশটির সর্বোচ্চ ধমীয় নেতা একই অভিযোগ করেন। বলেন, শত্রুরা ইরানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো দেশের নাম নেননি তিনি।
আয়াতুল্লাহ আল খামেনি বলেন, ‘এই বিক্ষোভের পরিকল্পনা দেশের ভেতর থেকে হয়নি। শত্রুরা এটা করেছে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। সহিংসতা অব্যাহত রাখতে উসকানি দেয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্টের মেয়ের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী প্রচারণার অভিযোগ
এদিকে, বিক্ষোভের ঘটনায় সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের দায়ী করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বলেন, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কিছু করতে না পেরে ইরানে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, ‘তারা আমাদের নানাভাবে চাপে ফেলতে চেয়েছে। কিন্তু তারা সবসময় ব্যর্থ হয়েছে। এখন চাচ্ছে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে। ইরানিরা অবশ্যই তাদের রুখে দেবে।’
আরও পড়ুন: ইরানের নৈতিকতা পুলিশের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা
একইদিন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সাম্প্রতিক নৈরাজ্য ও দাঙ্গাকে অজুহাত করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি তেহরানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়, তাহলে ইরানও পাল্টা পদক্ষেপ নেবে। নিজেদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক না গলাতেও আহ্বান জানান তিনি।
এরই মধ্যে আন্দোলনকারী ও প্ররোচনাকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দেশের সব বিচারককে এই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
]]>