<![CDATA[
ইরাকের ব্যাংক থেকে ইরানে ডলার পাচার হচ্ছে- এমন কারণ দেখিয়ে ইরাকের ১৪টি ব্যাংকের ডলার লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন সরকার।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন অর্থবিভাগ ডলার পাচার প্রসঙ্গে ইরাকের ১৪টি ব্যাংকের বিপক্ষে অভিযোগ এনে ব্যাংকগুলোর ডলার লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে। সম্প্রতি এ ব্যাপারে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিনীরা।
ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাষ্যমতে, গত সপ্তাহে ১৪টি ব্যাংকে ডলার লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন অর্থবিভাগ। তবে মার্কিন স্টেট বিভাগের ডেপুটি মুখপাত্র ভেদান্দ পাটেল বলছেন,
এটি মূলত নিষেধাজ্ঞা নয়। যেহেতু ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাপারটি দেখছে, তাই নিষেধাজ্ঞার বদলে নজরদারিতে আছে ব্যাংকগুলো।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক মুদ্রায় লেনদেনের প্রতিযোগিতা, ডলারের ভবিষ্যৎ কী
পাটেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এবং নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ চলতি মাসে ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ডলার সেল উইন্ডো’ এবং ‘অয়্যার অকশন’ বন্ধ করে দিয়েছে। মূলত এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে ডলার পাচার বন্ধের পাশাপাশি, ইরাকের মানুষের লাভ হবে এবং স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে দেশটি রক্ষা পাবে বলে জানান তিনি।
তবে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এবং নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ রয়টার্সের সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলতে রাজি হয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আলি-আল-আলাক বলেন, ব্যাপারটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। তবে এসব ব্যাংকের বাইরে আর কোনো ব্যাংকের লেনদেন নিষেধাজ্ঞা আসবে বলে মনে করেননা তিনি।
আলাক বলেন, যে ১৪টি ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা সামষ্টিকভাবে দেশের মাত্র ৮ শতাংশ ডলার লেনদেন করে। ব্যাংকগুলোতে ডলার লেনদেন বন্ধ হলেও প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যান্যা দেশের মুদ্রা লেনদেন অব্যাহত রাখতে পারবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ব্যাংক অব আমেরিকাকে ১৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ১৪টি ব্যাংকের মুখপাত্র হিসেবে হায়দার-আল-শাম্মা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে ইরাকে দিনারের ওপর চাপ বাড়ছে। যেখানে ডলার প্রতি দিনারের মূল্যমান ছিল ১ হাজার ৫০০, এখন তা আরও অবমূল্যায়ন হয়ে হয়েছে ১ হাজার ৫৮০।
শাম্মা বলেন, এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের আট ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। মার্কিনীদের কালো তালিকাভুক্ত থাকা ইরাকি ব্যাংকের সংখ্যা ৭২টি। যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের ফলে শুধু দিনারের অবমূল্যায়ন না, বিদেশি বিনিয়োগেও ক্ষতির মুখে পড়ছে ইরাক।
]]>