<![CDATA[
বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য উন্নত বোমা তৈরি করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। জান্তাবিরোধী ছায়া সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সফলভাবে নতুন ধরনের বোমা তৈরি করেছে পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) এসব বোমার কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।
সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় সাগাইংয়ের মনিওয়া শহরে পিডিএফের স্থানীয় যোদ্ধারা এসব বোমা তৈরি করেছে। বিদ্রোহীদের এ আবিষ্কার জান্তা কর্তৃপক্ষ ও সেনাবাহিনীকে নতুন হুমকি ও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এরই মধ্যে ওই অঞ্চলে বড় অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে জান্তা সরকার।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর এপ্রিলে ছায়া সরকার এনইউজি গঠিত হয়। মিয়ানমারে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত এই সরকার মূলত কাজ করছে প্রবাসী সরকার হিসেবে। তবে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন গোষ্ঠী এনইউজিকে তাদের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার হিসেবে মেনে নিয়ে জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে জান্তার যাঁতাকলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মোকাবিলায় পিডিএফ নামে একটি সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলে এনইউজি। এরপর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পিডিএফ যোদ্ধারা। এ সময়ের মধ্যে মিয়ানমারের অর্ধেকের বেশি ভূখণ্ড পিডিএফের নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করেছে এনইউজি।
চলতি মাসের প্রথম দিকে (৭ অক্টোবর) মিয়ানমারের জনগণের আত্মরক্ষার বিপ্লবের বার্ষিকী উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এনইউজি মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে নতুন নতুন ফ্রন্টে যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দেয়। এতে এনইউজির প্রতিনিধিরা মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ের বিভিন্ন দিক ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে এনইউজির তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী টিন লিন অং বলেন, তাদের কাছে এমন অস্ত্র আছে যা দিয়ে বিমান ধ্বংস করা যাবে। তিনি বলেন, ‘বিমানবিধ্বংসী অস্ত্রগুলো বিভিন্ন জায়গায় বসানো আছে। আমি বলছি না, সেগুলো কোথায়। তবে যদি যুদ্ধবিমান আসে, তাহলে সেগুলো গুলি করে নামানো হবে।’ যদিও এনইউজির কাছে কী ধরনের অস্ত্র আছে তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে কারাগারে বিস্ফোরণে নিহত ৮
এনইউজির কর্মকর্তারা বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে এনইউজি ও সশস্ত্র বাহিনীগুলো উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। রাজনীতি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগ, প্রশাসন ও যুদ্ধের মাঠেই কেবল সাফল্য নয়, তারা ভবিষ্যতে মিয়ানমারের সবাইকে নিয়ে একটি গণতন্ত্র উপহার দেবে।
]]>