<![CDATA[
উপনির্বাচনে বড় জয়ের পর আবারও আগাম জাতীয় নির্বাচনের জোর দাবি তুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান। সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তিনি বলেছেন, চলতি মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হবে। তা না হলে ইসলামাবাদ অভিমুখে ফের লংমার্চ করবে তার দল।
রোববার (১৬ অক্টোবর) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের আটটি আসনের উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছয়টিতে জয় পেয়েছেন ইমরান খান। বাকি দুটি পেয়েছে ক্ষমতাসীন জোটের অংশীদার পাকিস্তান পিপল’স পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা। নির্বাচনের একদিন পর ফের আগাম ভোট নিয়ে সোচ্চার হন ইমরান।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলনে ৭০ বছর বয়সী পিটিআই নেতা বলেন, শুধু দেশের মঙ্গলের কথা ভেবেই আমি তাদের (সরকার) কয়েক দিন সময় দিচ্ছি। আমি আবারও বলছি, নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার জন্য তাদের হাতে এখনও সময় আছে। তারা যদি সেটা না করে, তাহলে আমরা লংমার্চ শুরু করব। আমাদের লংমার্চের প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন।
আরও পড়ুন: জিনপিংকে অভিনন্দন মিয়ানমার জান্তাবিরোধী জোটের
পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজের (পিএমএল–এন) নেতা শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে নির্বাচন বিলম্বিত করার অভিযোগ তুলে ইমরান খান বলেন, ‘প্রতিনিয়ত পিটিআইয়ের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় তিনি নির্বাচন দিতেও ভয় পাচ্ছেন।’
চলতি বছরের এপ্রিলে এক অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর থেকে আগাম নির্বাচনের দাবিতে পাকিস্তানজুড়ে সমাবেশ করছেন তিনি। সব কর্মসূচিতেই অংশ নেয় বিপুল মানুষ।
ইমরান খানের অভিযোগ, বিদেশি ষড়যন্ত্রে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে তাকে। বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটকে আমদানি করা সরকার বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে পাকিস্তানজুড়ে যে গণসংযোগ চালান তার ফল পেতে শুরু করেছেন ইমরান খান।
আরও পড়ুন: ইরানের কারাগারে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮
এর আগে গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে প্রাদেশিক পরিষদের উপনির্বাচনেও বড় জয় পেয়েছিল পিটিআই। এছাড়া গত ১৭ জুলাই পাঞ্জাবের আরেক উপনির্বাচনেও ২০টি আসনের ১৫টিতেই জয়লাভ করে ইমরান খানের দল।
দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেকরা বলছেন, আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইমরান খান যে আন্দোলন করে আসছেন, উপনির্বাচনের এই জয় সেই দাবি আরও জোরালো করবে। এতে বড় ধরনের চাপের মুখে পড়বে শাহবাজ সরকার। এর মধ্যদিয়ে আবারও তার ক্ষমতায় আসার আভাস মিলছে।
]]>