<
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিলোনিয়ায় রেললাইন নির্মাণে সমীক্ষার কাজ শেষ করেছে ভারত। আগরতলা স্টেশন থেকে বিলোনিয়া পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে ৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
১৮৬২ সালে দর্শনা-জগতি স্টেশনের মধ্যে তদানীন্তন ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ের ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রা শুরু। বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সেবামূলক সংস্থা। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়েকে প্রকৃত গণপরিবহন মাধ্যম হিসেবে ঢেলে সাজাতে ও একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে গড়ে তুলতে গত এক দশকে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক, যুগোপযোগী গণপরিবহন মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে।
রেলওয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: রেল নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে সাসেক রেল যোগাযোগ বিনিয়োগ কার্যক্রমের জন্য কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যান হালনাগাদ করার কার্যক্রম গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ে মাস্টারপ্ল্যান হালনাগাদ করা হয়েছে, যা সরকার ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি অনুমোদন দিয়েছে। নতুন অনুমোদিত রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যানে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০৪৫ সালের জুন পর্যন্ত ছয়টি পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৫ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩০টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত আছে। রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হলে সমগ্র বাংলাদেশকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ সরকার এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য এরই মধ্যে নীতি-কৌশল গ্রহণ করেছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ প্রণীত ম্যাপিং অনুযায়ী রেলপথ মন্ত্রণালয় চারটি এসডিজি গোলের আওতায় আটটি টার্গেট অর্জনের নিমিত্তে অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন করেছে ও সে অনুযায়ী প্রকল্প/কার্যক্রম গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
রেলের কত জমি বেদখল: চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট জমির পরিমাণ ৫৮ হাজার ৪৬৯ দশমিক ৯১৪৯ একর বা ২৩ হাজার ৬৭১ দশমিক ৮৩৫ হেক্টর। মোট রেলের জমির মধ্যে লিজ দেওয়া আছে ১৫ হাজার ৮৯ দশমিক ২২১৩ একর বা ছয় হাজার ১০৮ দশমিক ৯৭৪ হেক্টর। আর বেদখল জমির পরিমাণ দুই হাজার ৮১৭ দশমিক ১২৩ একর বা এক হাজার ১৪০ দশমিক ৫৩ হেক্টর।

আরও পড়ুন: আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের উদ্বোধন সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, বেদখলকৃত রেলভূমি পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ৯৬ দশমিক ৪৩২ হেক্টর ও পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় এক হাজার ৪৪ দশমিক ১০৩ হেক্টর। নিয়মিত রেলভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। বেদখল জমিতে দোকান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বস্তি, ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও ক্লাব ইত্যাদি রয়েছে।
]]>