Skip to content

এক মরদেহ নিয়ে দুই পরিবারের টানাটানি, ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ | বাংলাদেশ

এক মরদেহ নিয়ে দুই পরিবারের টানাটানি, ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ | বাংলাদেশ

<![CDATA[

মোংলায় ব্যবসায়ী মাহে আলমকে অপহরণের এক মাস ১ দিন পর আদালতের নির্দেশনায় মোংলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাগেরহাটের জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২ মোংলা থানাকে অপহরণের মামলা নিতে আদেশ দেন।

পাশাপাশি গত ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে উদ্ধার হওয়া হিলটন নাথ নামের এক ব্যক্তির মরদেহকে মাহে আলম বলে দাবি করছে তার পরিবার। এরপ্রেক্ষিতে মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে মাহে আলম নিখোঁজের বিষয়ে অপহরণ মামলা নথিভুক্ত করে মোংলা থানা পুলিশ। মামলা হওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে মোশাররফ হোসেন নামের এক ট্রলার মাঝিকেও আটক করেছে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও মাহে আলমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে মাহে আলম বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজার পরও না পেয়ে মাহে আলমের ছোট ছেলে সুমন রানা ১৪ এপ্রিল মোংলা থানায় নিখোঁজ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে ১০ এপ্রিলের পৌরসভার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন কৌশলে তাকে হাত ধরে ট্রলার ঘাটে নিয়ে সুন্দরবনের পর্যটকস্পট করমজলে নিয়ে যান।

সুমন রানা জানায়, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য উপাত্ত নিয়ে মোংলা থানায় মামলা করতে চাইলে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে সুমন রানা গত ২ মে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এ থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের লিখিত আবেদন করেন। আদালত মোংলা থানাকে ১৫৪ ধারায় এজাহারভুক্ত নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন। এ আদেশের প্রেক্ষিতে (১১ মে) বৃহস্পতিবার মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ সামসুদ্দীন ব্যবসায়ী মাহে আলমের অপহরণের মামলা রেকর্ড করেন।

মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, ‘আদালতের আদেশের নথি পেয়েই মামলা রেকর্ড করা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে আসামি মোশাররফ হোসেনকে (৪৮) গ্রেফতার করি। একই দুপুরেই তাকে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। মোশাররফ হোসেন মোংলার কেওড়াতলা এলাকার মৃত মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।’

আরও পড়ুন: ঠিকানা ভুল: অবশেষে প্রবাসীর মরদেহ ফিরলো বাড়িতে

অপরদিকে গত ১৩ এপ্রিল রাতে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র এলাকার বনের গহীন থেকে অর্ধগলিত একটি মরদেহ পাওয়া যায়। ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ খুলনা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। ময়নাতদন্ত শেষে গত ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে বন বিভাগের অভিযানের সময় তাদের মারধরে নিখোঁজ হওয়া জেলে হিলটন নাথের পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের কাছে হস্তান্তর করে। ১৫ এপ্রিল খ্রিস্টান ধর্মে রীতি অনুযায়ী হিলটনের পরিবার মোংলা উপজেলার পশ্চিম চিলা গ্রামে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। এ ঘটনায় দাকোপ থানায় হিলটন নাথকে হত্যা করে মরদেহ গুমের অপরাধে অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে তার মা বীথিকা নাথ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

 

এমতাবস্থায় ১০ এপ্রিল নিখোঁজ ব্যবসায়ী মাহে আলমের (৬৫) পরিবার সুন্দরবনের করমজলে পাওয়া অর্ধগলিত মরদেহ মাহে আলমের দাবি করে দাকোপ থানায় ডিএনএ টেস্টের আবেদন জানায়। মাহে আলমের ছোট ছেলে সুমন রানা ২৮ এপ্রিল দাকোপ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন। এ  বিষয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ‘গ’ অঞ্চল খুলনা ডিএনএ টেস্টের জন্য আদেশ দেন। এ ঘটনায় দ্বিধায় পড়ে পুলিশ।

দাকোপ থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, ‘এক মরদেহ দুই পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে গত ৯ মে ডিএনএ টেস্টের জন্য হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছোট ছেলে সুমন রানার স্যাম্পল ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে । ডিএনএ রিপোর্ট পেতে একটু সময় লাগবে। রিপোর্ট পেলে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।’

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *