<![CDATA[
কিলিয়ান এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। শেষ পর্যন্ত পিএসজিতেই থেকে গেছেন তরুণ এই সেনসেশন। শোনা যাচ্ছে, ২০২৪ সাল নাগাদ ফরাসি ক্লাবটি ছাড়তে পারেন তিনি। এবার শোনা যাচ্ছে, এমবাপ্পের মা-ও নাকি চান তিনি যেন তার পরবর্তী গন্তব্য স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদকেই বেছে নেন।
এমবাপ্পের ভবিষ্যৎ গন্তব্য নিয়ে আগ্রহ এখন শীর্ষে। রিয়ালের নামটাই আসবে সবার আগে। কারণ, ছোটবেলা থেকেই যে এই ক্লাবটিতে খেলার স্বপ্ন দেখেছেন ফরাসি এই তারকা ফুটবলার। সুযোগও এসেছিল খেলার, তবে নানা নাটকীয়তার পর পিএসজিতেই থেকে যাওয়ার চিন্তা করেছেন। তবে এবার আবারো শোনা যাচ্ছে এমবাপ্পের রিয়ালে যাওয়ার গুঞ্জন।
এমবাপ্পের মা ফাইজা লামারি তার ফুটবল ক্যারিয়ারে বিরাট ভূমিকা পালন করেন, তা অনেকেরই জানা। তবে এবার তার মা-ও চান তার ছেলে যেন রিয়ালেই খেলে। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন এমবাপ্পের মা ফাইজা লামারি। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয় ছেলে এমবাপ্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
যার উত্তরে ফাইজা বলেন,
তার বাবা চায় সে থাকুক। আর আইনজীবী এবং আমি চাই সে চলে যাক। তবে আমাদের তিনজন সিদ্ধান্ত দেয়ার কেউ নই। যখন কিলিয়ান কিছু চায়, তবে আপনি যা–ই চান, তাতে কোনো লাভ নেই। সে নিজেরটাই করবে। এটাই।
আরও পড়ুন: রিয়াল নাকি বার্সা, এমবাপ্পেকে যে ক্লাবে যেতে বললেন মেসি
এখন মায়ের কথায় কান দেবেন, নাকি বর্তমান ক্লাবের জন্য আরও সময় এখানে কাটাবেন এমবাপ্পে সেটা তিনি নিজেই জানেন। তবে এমবাপ্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে তার মা-ও বেশ আগ্রহী তা বলা বাহুল্য।
এদিকে এমবাপ্পের মায়ের কথা হয়তো কোনোভাবে শুনেছেন রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। কারণ তার মায়ের ব্যাপারে এর আগেও কথা বলেছেন তিনি। গত বছর যখন এমবাপ্পে রিয়ালে না এসে পিএসজিতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তখন পেরেজ বলেছিলেন,
আমি মনে করি, তার (এমবাপ্পে) মা–ও চায় সে রিয়াল মাদ্রিদে আসুক। কারণ, এটা শৈশব থেকেই তার চাওয়া। আমি তার মায়ের সঙ্গে কথা বলিনি। কিন্তু আমি জেনেছি তার মন খারাপ।
গত বছর এমবাপ্পেকে ধরে রাখতে চাইলেও, পিএসজি এবার তা করতে চায় না। ভালো দাম পেলে অবশ্যই হয়তো ২৪ বছর বয়সী এই তরুণ ফুটবলারকে বিক্রি করে দেবে পিএসজি। আর রিয়াল যদি শেষ পর্যন্ত এমবাপ্পের প্রতি নতুন করে আগ্রহ দেখায়, তাহলে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে যেতে পারে। কে জানে সামনের মৌসুমেই হয়তো এমবাপ্পেকে দেখা যেতে পারে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।
]]>