<![CDATA[
আসন্ন ঘরোয়া মৌসুমের জন্য বাফুফের এলিট একাডেমি থেকে ফুটবলার কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের তিনটি ক্লাব। ক্লাবগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে ধারে খেলতে দেবে এলিট একাডেমি। তবে সে ক্ষেত্রে নিলামের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের দলে ভেড়াতে হবে।
জাতীয় দলের পাইপলাইনে খেলোয়াড় সরবরাহ ও ভালো মানের ফুটবলার তৈরি করতে দুই বছর আগে এলিট একাডেমি গঠন করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এরই মধ্যে এর সুফলও পেতে শুরু করেছে সংস্থাটি। এলিট একাডেমি থেকে উঠে এসেছে বেশ কয়েকজন ভালোমানের ফুটবলার।
আরও পড়ুন: মেসির অটোগ্রাফ নিয়ে চাকরি হারালেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী
গত মৌসুমে ঘরোয়া লিগের মধ্যবর্তী দলবদলে বাফুফের এলিট একাডেমি থেকে এক ফুটবলারকে ধারে দলে নিয়েছিল মোহামেডান। চলতি মৌসুম শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বেশ কয়েকটি ক্লাব আগ্রহ দেখিয়েছে এলিট একাডেমির ফুটবলারদের ওপর।
তবে ক্লাবগুলোর সঙ্গে ফুটবলারদের দলবদল নিয়ে সরাসরি কোনো চুক্তি করতে চায় না বাফুফে। সে ক্ষেত্রে ফুটবলার পেতে হলে ক্লাবগুলোকে অংশ নিতে হবে নিলামে। খুব শিগগিরই ফুটবলার বিক্রির নিলাম আয়োজন করবে বাফুফে।
বাফুফের সাবেক টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির পরিকল্পনায় যাত্রা শুরু করে এলিট একাডেমি। পল স্মলি দায়িত্ব ছাড়লেও এলিট একাডেমির কার্যক্রমে কোনো পরিবর্তন হয়নি। খেলোয়াড় বিক্রি করলেও বিসিএলের জন্য পূর্ণাঙ্গ দলও গঠন করবে এলিট একাডেমি।
বাফুফে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘এলিট একাডেমির কিছু খেলোয়াড়কে দলে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন, শেখ রাসেল ও মোহামেডান। যেহেতু একাডেমির খেলোয়াড়দের একাধিক ক্লাব চাচ্ছে, সেহেতু আমরা সরাসরি চুক্তির বদলে নিলামের মাধ্যমে দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: ক্রীড়াঙ্গনের হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্র শেখ কামাল
এদিকে সেপ্টেম্বরে ভুটানের মাটিতে বয়সভিত্তিক দুটি সাফে অংশ নিতে দল সাজাচ্ছে বাফুফে। এলিট একাডেমির ১৪ জন ফুটবলারকে দেখা যেতে পারে এবারের বিপিএলে। তা ছাড়া ফুটবলারদের পাশাপাশি দলবদলের অর্থের একটা অংশ পাবে বাফুফে।
]]>