Skip to content

এ এক ভিন্ন গুলশান-বনানী! | বাংলাদেশ

No description available.

<![CDATA[

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া যান চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় সোমবারের (১৭ জুলাই) মতো একটি ব্যস্ত কার্যদিবসেও এক রকম ফাঁকা গুলশান-বনানীর রাস্তা।

গুলশান-বাড্ডা লিঙ্ক রোডের পর গুদারাঘাট থেকে আর গুলশান এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না কোনো সাধারণ মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক বা পিকআপ। এ এলাকা ছাড়াও নির্বাচনী এলাকার পয়েন্টে পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল সীমিত রাখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে শহরের ব্যস্ততম রাস্তার একটি গুলশান-১ মোড় ও গুলশান এভিনিউতে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।

 

এসব এলাকায় প্রতিদিনই থাকে মানুষ ও যানবাহনের চাপ। কিন্তু নির্বাচনী দিনে ঘটেছে তার ব্যত্যয়। এদিকে পুরো এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় অনেকেই দুপুর থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হয়েছেন।

বনানী এলাকার একটি দৃশ্য। সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ছবিটি তুলেছেন মহির মারুফ

 

এদের একজন শামীমা শাম্মী বলেন, 

ভোট একটা উৎসবের মতো। যদিও উপনির্বাচন বলে সেই আমেজটা পাচ্ছি না। তবে যাই হোক, ভোটের দিন বলে কথা। আমরা স্বামী-স্ত্রী ভোট দিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছি। মনে হচ্ছে না আজকে সোমবার। একটা ছোটখাটো উৎসবের মতো লাগছে।

 

বনানীর রাস্তায় রাস্তায় নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে। যদিও ভোট কেন্দ্রগুলোতে উল্লেখযোগ্য ভিড় নেই তবে ফাঁকা রাস্তার সুবাদে মানুষ এসে আড্ডা জমিয়েছে ফুটপাতে। এদের আড্ডার মূল উপজীব্য চলমান উপনির্বাচন।

 

আরও পড়ুন: যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ, অথচ কেন্দ্রের সামনেই যানজট

 

এদের একজন পেশায় ব্যবসায়ী আখতারুজ্জামান। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল মজা হচ্ছে নির্বাচন। আপনার প্রতিনিধি আপনিই নির্বাচিত করতে পারছেন। আপনার একটি ভোটের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আবার দেখুন, আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ালেন একজন অধ্যাপক, অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালেন হিরো আলম। দুইজন একেবারে দুই প্রান্তের মানুষ। কিন্তু গণতন্ত্র তাদের এক ছাতার নিচে এনেছে। আর মূল ক্ষমতা আমাদের হাতে। আমরা ঠিক করতে পারবো কে আমাদের প্রতিনিধি হবে।’

 

নির্বাচন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, 

শনিবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্টের যেসব এলাকা ঢাকা-১৭ নির্বাচনী আসনের মধ্যে পড়েছে, সেসব এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ। অন্যদিকে রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-১৭ আসনের আওতাধীন এলাকায় মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন, যেমন– বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, প্রাইভেটকার, ইজিবাইক ইত্যাদি চলাচল বন্ধ আছে।

 

আরও পড়ুন: ভোট দিতে পারবেন না হিরো আলম, এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ

 

তবে নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক ও কতিপয় জরুরি কাজ, যেমন– অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যান চলাচলের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *