Skip to content

এ যেন লটকন নয়, টাকার গাছ! | বাংলাদেশ

No description available.

<![CDATA[

শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে গাছে গাছে দেখা যায় থোকায় থোকায় লটকে থাকা সুস্বাদু লটকন। প্রতিটি ফল বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দুই টাকায়। তাইতো কৃষকরা মনে করছেন এ যেন লটকন নয়, টাকার গাছ। জেলার প্রায় সব উপজেলাতেই চাষ হচ্ছে সুস্বাদু এ লকটন ফল। উৎপাদন খরচ কম এবং বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় এ ফল চাষে দারুণ আগ্রহ এখানকার বেশিরভাগ কৃষকের মধ্যে।

কৃষকরা জানান, বারি-১ জাতের লটকন বেশি মিষ্টি থাকায় চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। এ জাতের লটকন হেক্টর প্রতি ১৮ থেকে ২০ টন ফলন হয়ে থাকে। বাজারে দামও ভালো, তাই লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লটকনের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

সীমান্ত উপজেলা ঝিনাইগাতীর ডেফলাই গ্রামের কৃষক মনোহর আলী সময় সংবাদকে জানান, তার লটকন বাগানটি তিনি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন আজিমুদ্দিন পাইকারের কাছে।

আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে আঙুর চাষ, এ বছরই ৩ লাখ টাকা বিক্রির আশা

এ বিষয়ে আজিমুদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেও জানা গেছে, দেড় লাখ টাকায় কেনা এ বাগান থেকে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় দুই লাখ টাকার লটকন বিক্রি করেছেন। তবে বাগানে আরও যে সংখ্যক লটকন রয়েছে তার আরও প্রায় এক লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

 

শেরপুরে থোকায় থোকায় গাছে ঝুলছে সুস্বাদু ফল লটকন। ছবি: সময় সংবাদ

শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা গ্রামের করিমুল্লাহ জানান, অল্প জমিতে লটকন চাষ করে বছরে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা আয় করা যায়। তাই লটকন বাগান করতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

আরও পড়ুন: যেসব গুণের জন্য ‘ফলের রানি’ কালো আঙুর

শেরপুর সদর উপজেলার রঘুনাথ বাজারের ফল ব্যবসায়ী আসাদ মিয়া সময় সংবাদকে জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি লটকন খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। জেলার অন্যান্য অঞ্চলের লটকনের চেয়ে পাহাড়ি লটকন তুলনামূলক বেশী মিষ্টি। তাই এই লটকনের চাহিদাও বেশি।

 

No description available.
লটকন বাগানে গাছে গাছে লটকে আছে থোকায় থোকায় এ ফল। ছবি: সময় সংবাদ

এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, লটকন মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। মৌসুমি এ ফলের আবাদে নতুন নতুন কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে নানা প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে কৃষি বিভাগ থেকে। আগ্রহী কৃষকদের সঠিক পরামর্শসহ সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, প্রতিটি গাছে চার কেজি থেকে ১৩০ কেজি পর্যন্ত লটকন ফলন হয়। চলতি বছরে জেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে লটকনের চাষ হয়েছে, উৎপাদন হয়েছে ৫৫০ টনের মতো।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *