<![CDATA[
কক্সবাজার সদরের বাজারঘাটা এলাকায় সি বার্ড নামে একটি আবাসিক হোটেলে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় আত্মগোপনে থাকা তাকে আটক করা হয়। তিনি বাগেরহাট সদর উপজেলার আতাইকাঠী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। আসামিকে আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয় শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে। আটকের মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে মাদক ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে চারটি মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র্যাব-৭ ও ১৫। এরপর র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সি বার্ড আবাসিক হোটেলের একটি রুমে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আগের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই হোটেলে উঠেছিলেন মোস্তাফিজ ও এক নারী। পরদিন সন্ধ্যায় তিনি হোটেল কক্ষের বাইরে তালা দিয়ে বেরিয়ে যান। সন্ধ্যায় হোটেলবয় দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করলে দরজা তালাবদ্ধ দেখেন। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ ওই কক্ষ থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: আবাসিক হোটেলে নারীর মরদেহ উদ্ধার
হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মোস্তাফিজকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় র্যাব। পরে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মোস্তাফিজের অবস্থান চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানা এলাকায় শনাক্ত করে। শেষে র্যাব অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব জানায়, ওই নারী মোস্তাফিজের স্ত্রী নয়। এর আগেও একাধিকবার নারী নিয়ে হোটেলে ছিলেন তিনি। ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই নারীকে নিয়ে হোটেলে অবস্থানের সময় বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ওই নারীকে হত্যার পর হোটেল থেকে পালিয়ে যান। ওই নারীকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে র্যাবের কাছে। তবে ওই নারীর পরিচয় আসল পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তাই ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে।
হোটেল রেজিস্ট্রারে দেয়া তথ্যমতে, জেসমিন আক্তারের বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। জেসমিন আক্তারের সঙ্গে স্বামী পরিচয়ে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক যুবক হোলেট সি বার্ডের চারতলার ওই কক্ষে উঠেছিলেন।
]]>