<![CDATA[
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শফির বিল এলাকার সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে একটি মৃত ডলফিন ও একটি মৃত কাছিম। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিওআরআই) মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার জানান, গত সপ্তাহের বেশী সময় ধরে সামুদ্রিক এ প্রাণী দুটি সৈকতের বালিয়াড়িতে পড়ে থাকলেও খবরটি জেনেছেন বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায়।
ইরাবতী প্রজাতির এই মৃত ডলফিনটির লেজ ব্যতিত দৈর্ঘ্য ৬ ফুট ও ব্যাস ৫ ফুট ২ ইঞ্চি এবং বড় আকারের মৃত কাছিমটি অলিভ রিডলি প্রজাতির।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী গবেষকরা বলছেন, সামুদ্রিক প্রাণি দুটির শরীরে পঁচন ধরায় মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: সৈকতে ভেসে এলো ৪ ফুটের মৃত ডলফিন
গবেষক বেলাল হায়দার বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয়দের মাধ্যমে উখিয়ার জালিয়াপালং মোহাম্মদ শফির বিল এলাকা সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে একটি মৃত ডলফিন এবং একটি মৃত কাছিম পড়ে থাকার খবর পান। পরে বিওআরআই এর একদল গবেষক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দেখা গেছে, মৃত অবস্থায় পড়ে থাকা ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটির দেহে পঁচন ধরেছে। ধারণা করা হচ্ছে- বেশ কয়েকদিন আগে সাগরে মৃত্যু ঘটার পর ডলফিনটি জোয়ারের পানিতে সৈকতে ভেসে এসেছে।
বিওআরআই-এর এই মহাপরিচালক বলেন, সম্প্রতি সপ্তাহ দেড়েক আগে কক্সবাজার সৈকত সংলগ্ন সাগরে ১০ থেকে ১৫টি ডলফিনের একটি দলকে বিচরণ করতে দেখেছেন স্থানীয়রা। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উখিয়ার মোহাম্মদ শফির বিল এলাকার সৈকতে ডলফিনটি মৃত অবস্থায় ভেসে আসে। সেই থেকে ডলফিনটি সেখানকার বালিয়াড়িতে পড়ে রয়েছে।
বেলাল হায়দার জানান, ডলফিনটির শরীরে পঁচন ধরায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পঁচনের কারণে ডলফিনটির মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে- সাগরে কোন জলযান বা জেলেদের জালে আটকা পড়ে মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, উখিয়ার মোহাম্মদ শফির বিল এলাকা সংলগ্ন সৈকতে ভেসে আসা মৃত ডলফিনটির অদূরে একটি অলিভ রিডলি প্রজাতির একটি মৃত কাছিম পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাগরজলে খুনসুটিতে মেতেছে ডলফিনের ঝাঁক
বেলাল হায়দার বলেন, সৈকতে পড়ে থাকা কাছিমটিরও কয়েকদিন আগে মৃত্যু হয়েছে। এখন প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সৈকতের বালিয়াড়িতে ডিম পাড়তে এসে কাছিমটির মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে। কাছিমটিরও শরীরে পঁচন ধরায় তাৎক্ষণিক মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সমুদ্র উপকূলে প্রাণীদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন সংরক্ষক মো. সরওয়ার আলম বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি অবহিত হয়েছেন তিনি। সামুদ্রিক প্রাণী দুটির নমুনা সংগ্রহ এবং মাটিতে পুঁতে ফেলার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
]]>