<![CDATA[
সপ্তাহজুড়ে আদিবাসীদের মধ্যে চলমান সহিংসতার ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ভারতের মণিপুর রাজ্যে। শনিবারও (৬ মে) রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকায় সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত ভারতের মণিপুর রাজ্যে দেড়শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছেন, পুড়ে ছাই হয়েছে পাঁচশতাধিক ঘরবাড়ি।
এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল জোরদার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। রাজ্যের ইম্ফাল, চুড়াচাঁদপুর, মোরেহ এবং কাকচিং সীমান্ত এলাকাসহ রাস্তায় টহল দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়লেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজ্যটিতে।
তবে শনিবারও এসব উপেক্ষা করে আদিবাসীদের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় নতুন করে আরও ১৬ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, মেতাই জনগোষ্ঠীকে ‘তফসিলি আদিবাসী’র স্বীকৃতি দিতে আদালতের রায় ঘিরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে আদিবাসীদের মধ্যে শুরু হয় সংঘাত।
আরও পড়ুন: মণিপুরে সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে চলা সহিংসতায় দেড়শতাধিক মানুষ হতাহত হন। এখন পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়েছে পাঁচশতাধিক ঘরবাড়ি। ঘরহারা হয়েছেন রাজ্যটির কয়েক হাজার মানুষ।
গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) দিনভর সংঘর্ষের পর রাজ্যের আট জেলায় কারফিউ জারি ও ‘শ্যুট অ্যাট সাইট’ বা দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। কারফিউ উপেক্ষা করেও সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল অনেক এলাকায়। অবশ্য পরে কারফিউ তুলে নেয়াও হয়।
আরও পড়ুন: মণিপুরে দাঙ্গা: ‘দেখামাত্র গুলি করার’ নির্দেশ রাজ্য সরকারের
মেতাইদের বিশেষ স্বীকৃতি না দিতে আদিবাসী ছাত্র সংগঠনগুলোও একের পর এক মিছিল-সমাবেশ করছে। মেতাইদের এ স্বীকৃতি দিলে মণিপুরের প্রকৃত আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে দাবি আন্দোলনকারীদের।
এদিকে, মণিপুরের শান্তি ফেরাতে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং। মণিপুরে সংঘর্ষ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
]]>