Skip to content

কর্ণাটকের পর মধ্যপ্রদেশ জয়ে কংগ্রেসের প্রচারণা শুরু | আন্তর্জাতিক

কর্ণাটকের পর মধ্যপ্রদেশ জয়ে কংগ্রেসের প্রচারণা শুরু | আন্তর্জাতিক

<![CDATA[

ভোটের লড়াইয়ে কর্ণাটকের দখল নেয়ার পর এখন অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস। চলতি বছরের শেষ দিকেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তবে নির্বাচনী প্রচারে কোনো কমতি রাখতে নারাজ কংগ্রেস হাইকমান্ড। তাই নির্বাচনের অন্তত চার মাস আগেই শুরু করেছেন প্রচারণা।

খবরে বলা হয়েছে,  সোমবার (১২ জুন) সকালে জব্বলপুরে এক বিশাল ব়্যালি-সমাবেশের মধ্যদিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে কংগ্রেস। আর এই প্রচারণার নেতৃত্ব দেন খোদ দলের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এর আগে মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথকে সঙ্গে নিয়ে নর্মদা নদে পুজো দেন তিনি।

সেখানে এক জনসভা থেকে বিজেপির দুর্নীতি ও কর্মসংস্থানে ব্যর্থতা নিয়ে কঠোর সমালোচনা প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, ‘এই সরকার কিভাবে চলছে, তার স্বরূপ উদ্‌ঘাটন করে আপনাদের চোখ খুলে দিতে এখানে এসেছি। এটুকু বোঝাতে এসেছি, এতগুলো বছর যাদের বিশ্বাস করে দায়িত্ব সঁপেছেন, তারা অবহেলা ও দুর্দশা ছাড়া আর কিছু উপহার দেয়নি।’

 

কর্মসংস্থান নিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, বিজেপি সরকার গত তিন বছরে রাজ্যে মাত্র ২১ জনকে সরকারি চাকরি দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মানুষ গত ১৮ বছর ধরে বিজেপির হাতে ব্যবহৃত হচ্ছেন।

 

আরও পড়ুন: কর্ণাটকে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে কংগ্রেস

 

প্রিয়াঙ্কার সমাবেশ উপলক্ষ্যে এদিন জব্বলপুর শহর ও এর আশপাশের এলাকা গদা দিয়ে সাজিয়েছিল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, কর্ণাটকে বিজেপির ‘আলি বনাম বজরংবলী’ প্রচার মুখ থুবড়ে পড়ার পর কৌশলগত অবস্থান থেকেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

 

কর্ণাটকের বিধানসভা ভোটের নির্বাচনী ইস্তাহারে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে সে রাজ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব শাখা বজরং দলের উপর বিধিনিষেধ জারি করা হবে।

 

তারপরই বিজেপির প্রচারণায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস আগে রামনামের উপর বিধিনিষেধ জারি করতে সক্রিয় ছিল, এখন তারা ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগানকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইছে।’ বক্তৃতায় ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগানও দিয়েছিলেন তিনি।

 

কংগ্রেসের সেই নির্বাচনী ইস্তাহারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছিল সঙ্ঘ পরিবারের সংগঠনগুলো। জব্বলপুরে এমনই এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে উত্তেজিত জনতা কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করেছিল বলে অভিযোগ।

 

আরও পড়ুন: বিজেপি হটাতে শর্তসাপেক্ষে কংগ্রেসকে সমর্থন দিতেও রাজি মমতা!

 

প্রিয়াঙ্কা সেই জব্বলপুরেই কংগ্রেসের সমাবেশ থেকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপিকে। বলেন, ‘হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটকের মানুষ বিজেপির দুর্নীতি আর অপশাসনের জবাব দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশও দেবে।’

 

মধ্যপ্রদেশে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দেড় দশকের শাসন অবসানের রায় দিয়েছিল জনতা। নির্বাচনে গরিষ্ঠতা পেয়েছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন কমলনাথ।

 

কিন্তু ১৫ মাসের মাথাতেই জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের অনুগামী প্রায় দু’ডজন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়ায় কমল নাথ সরকারের পতন ঘটে। আবার মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির শিবরাজ সিংহ চৌহান। 

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *