<
মার্কো অ্যাসেন্সিও: রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সম্ভাব্য সবকিছু জেতা শেষ। চলতি মৌসুম শেষেই ফুরিয়ে যাবে তার চুক্তির মেয়াদ। তাই ফ্রি এজেন্ট হিসেবে এই স্প্যানিয়ার্ডের পিএসজিতে যোগ দেওয়াটা নিশ্চিত। ক্লাবটির সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তিও হয়ে গেছে তার। ২৭ বছর বয়সী অ্যাসেন্সিও মাদ্রিদের হয়ে কাটিয়েছেন দারুণ একটা মৌসুম। তবে নিয়মিত ছিলেন না একাদশে। ২০১৯ সালে এসিএল ইনজুরির পর তিনি আর আগের সেই দুর্ধর্ষ রূপে পুরোপুরি ফিরতে পারেননি। তারপরও পিএসজির স্কোয়াডে একজন দারুণ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হতে পারেন তিনি।

রান্ড্যাল কলো মুয়ানি: প্যারিসের বেশ কয়েকটি ক্লাবে খেলার পর গত মৌসুমে বুন্দেসলিগার ক্লাব আইনট্রাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্টে যোগ দিয়ে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। লিগে ১৫ গোল করার পাশাপাশি ১১টি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি। তাই এই মুহূর্তে বড় দলগুলোর রাডারে এই ২৩ বছর বয়সী ফরাসি। প্যারিসের এই মুহূর্তে একজন নম্বর৯ দরকার, আর এমবাপ্পেও জানিয়েছেন তিনি উইংয়ে খেলতেই স্বাচ্ছন্দ। তাই কোলো মুয়ানি প্রথাগত স্ট্রাইকার না হলেও এমবাপ্পের সঙ্গে গড়তে পারেন দারুণ জুটি।
তবে তাকে দলে ভেড়ানো খুব একটা সস্তা হবে না। ফ্রাঙ্কফুর্ট এরই মধ্যে তার গায়ে ১০০ মিলিয়ন ইউরো ট্যাগ লাগিয়ে রেখেছে। তবে বর্তমানে দল বদলের বাজারে এই মূল্য পিএসজির মতো ক্লাবের জন্য খুব বেশি কিছু নয়। তাই ব্যাপারটা অনেকটাই নির্ভর করছে খেলোয়াড়ের ইচ্ছার ওপর।
মার্কাস থুরাম: ২৫ বছর বয়সী থুরামকে এমবাপ্পের সঙ্গে দারুন মানাতে পারে। বরুশিয়া মনচেনগ্লাডবাখের এই স্ট্রাইকারকে পাওয়ায় যাবে বেশ সস্তায়। তার ব্যাপারে খটকা শুধু দুটি বিষয়ে। প্রতিভাবান ও পরিশ্রমী হলেও থুরাম কখনোই একজন দারুণ স্কোরার নন। বুন্দেসলিগায় চলতি মৌসুমে ১৩ গোল করেছেন তিনি। এটিই তার ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম। তার মধ্যে থাকা প্রতিভা কাজে লাগাতে পারলে দারুণ এক স্ট্রাইকার পেতে পারে পিএসজি।
খেফরেন থুরাম: নিসের এই ফরাসি মিডফিল্ডারও আছেন পিএসজির রাডারে। গত এপ্রিলে পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচে এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের পারফরম্যান্স নজর কাড়ে পিএসজির ম্যানেজমেন্টের। তবে তাকে মানুয়েল উগার্তেকে পেয়ে যাওয়ার পর পিএসজি তাকে ভেড়াবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাছাড়া থুরামকে দলে ভেড়াতে এরই মধ্যে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিভারপুল।
মানু কোনে: খেফরেন থুরামের থেকে কিছুটা ভিন্ন ধরনের বক্স টু বক্স মিডফিল্ডার মানু। একই সঙ্গে পরিশ্রমী ও বল পায়ে দারুণ ড্রিবলার বরুশিয়া মনচেনগ্লাডবাখের এই মিডফিল্ডার পায়ে ধরে রাখতে পারেন বল। এই মৌসুমে ঠিক এমন একজনের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে পিএসজি। তবে থুরামের মতোই তাকে পাওয়াও কঠিন হবে পিএসজির জন্য। লিভারপুলসহ বেশ কয়েকটি ক্লাব তার দিকে চোখ রাখছে।

ভিক্টর অসিমহেন: নাপোলিকে ৩৩ বছর পর স্কুদেত্তো জেতানোয় বড় অবদান নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ভিক্টর অসিমহেনের। এই মুহূর্তে দলবদলের বাজারে হটকেক তিনি। তাকে দলে নিতে ইচ্ছুক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাব। তাই এই স্ট্রাইকারকে দলে পেতে হলে আকাশছোঁয়া অর্থ খরচ করতে হবে। তাছাড়া অসিমহেনের ইচ্ছা ক্যারিয়ারের কোনো এক সময় ইংলিশ লিগে খেলা। তাই পিএসজির পক্ষে তাকে পাওয়া সহজ হবে না।

মানুয়েল উগার্তে: উরুগুয়ের ২২ বছর বয়সী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের সঙ্গে চুক্তি প্রায় নিশ্চিত পিএসজির। ২০২৮ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের চুক্তিতে স্পোর্টিং সিপি থেকে দলে ভেড়ানো হচ্ছে তাকে। এর জন্য পিএসজির খরচ করতে হচ্ছে ৬০ মিলিয়ন ইউরো।
পিএসজিতে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে এই মুহূর্তে আছেন পর্তুগালের দানিলো পেরেইরা। ডফেন্সিভলি তিনি অনেক নিখুঁত হলেও উগার্তের আছে ইউরোপের সেরা মিডফিল্ডারদের একজন হওয়ার ক্ষমতা।
আরও পড়ুন:মেসির সঙ্গে চুক্তি পাকাপোক্ত করতে প্যারিসে আল-হিলালের কর্তারা
লুকাস হার্নান্দেজ: মিলান স্ক্রিনারের আসাটা নিশ্চিত। তবে সার্জিও রামোস দল ছাড়ায় ও প্রেসনিল কিম্পেম্বে অধিকাংশ সময় ইনজুরিতে যোগায় আরও একজন সেন্টারব্যাক দরকার পিএসজির। এদিকে বায়ার্নে আর থাকতে চাচ্ছেন না ফ্রান্সের সেন্টারব্যাক লুকাস হার্নান্দেজ। বায়ার্নের সঙ্গে চুক্তির শেষ বছরে থাকায় আগামী মৌসুমে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে বিনামূল্যে খোয়ানোর চেয়ে তাকে বিক্রি করে কিছু আয় করাটাই লাভজনক মনে করতে পারে বুন্দেসলিগার চ্যাম্পিয়নরা। তাই পিএসজি সুযোগটা নিয়ে দলে ভেড়াতে পারে তাকে।

জাভি সিমন্স: পিএসজির সঙ্গে জাভি সিমন্সের সম্পর্কটা ঠিক পরিষ্কার নয়। বার্সেলোনার একাডেমি থেকে নিয়ে আসার পর প্রথম একাদশে সুযোগ না পেয়ে অত্তিপ্ত জাভি ফ্রি ট্রান্সফারে যোগ দেন পিএসভিতে। ডাচ লিগে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করে তিনি ক্লাবকে তুলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। এখন বাই ব্যাক ক্লজ কাজ লাগিয়ে তাকে ফেরাতে চায় পিএসজি।
তবে জাভিকে ফিরিয়ে ঠিক কোন জায়গায় খেলাবে তা একটা প্রশ্ন। পিএসজির তারকায় ভরা মিডফিল্ডে জাভির জায়গা হবে না তা মোটামুটি নিশ্চিত। ক্লাবের ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে এই তারকাকে দীর্ঘমেয়াদি লোণে হয়ত অন্য ক্লাবে পাঠানো হবে আবার।
]]>