Skip to content

কেসিসি নির্বাচনে জামানত হারালেন ৩ মেয়র প্রার্থীসহ ৭৫ জন | বাংলাদেশ

কেসিসি নির্বাচনে জামানত হারালেন ৩ মেয়র প্রার্থীসহ ৭৫ জন | বাংলাদেশ

<![CDATA[

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে তিন মেয়র প্রার্থীসহ জামানত হারিয়েছেন ৭৫ প্রার্থী। নির্বাচনে ঘোষিত ফলে বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন তারা।

তিন মেয়র প্রার্থী হলেন: জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক। এ ছাড়া ৭২ সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীও রয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্যানুযায়ী, এবারের কেসিসি নির্বাচনে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন দুই লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৬ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৬৫৯টি ভোট বাতিল হয়েছে। ফলে বৈধ ভোটের সংখ্যা দুই লাখ ৫৬ হাজার ২৭৭। ভোট প্রদানের হার ৪৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। সে হিসেবে ৩২ হাজার ২৪২ ভোটের কম পাওয়ায় তিন মেয়র প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। 

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়। যাদের কম ভোট পড়েছে, তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: মাধ্যমিক পেরোননি ৮৬ কাউন্সিলর প্রার্থী

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, এবার খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে নগরীর ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫৭ ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ১৫ কাউন্সিলর প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

সাধারণ ওয়ার্ডে যারা জামানত হারাচ্ছেন তারা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নাসির ও মো. মফিজুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. বজলুর রহমান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবজাল জমাদ্দার ও কাজি ইব্রাহিম মার্শাল, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জামিরুল ইসলাম ও মো. মহির মোল্যা, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শামসুল আলম মিল্টন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী সরয়ার উল আযম, মো. দেলোয়ার হোসেন মাতব্বার ও মো. মাহফুজ পারভেজ মুন্না, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শহিদুল ইসলাম লিটন ও শেখ মনির হোসেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মুন্সি আব্দুল ওদুদ ও মো. খলিলুর রহমান, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. তৌহিদুল ইসলাম ও মো. রবিউল গাজী, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একেএম মোসফেকুস সালেহীন, খান মো. আলী সিদ্দিকী, মো. আল ফাহাদ হোসেন, মো. নাসির সরদার, শেখ গোলাম কিবরিয়া ও শেখ মাহফুজুর রহমান, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মাহবুবুর রহমান শামীম, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে মল্লিক আসাদুজ্জামান, মো. শামীম শেখ ও মো. হায়দার বিশ্বাস, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আব্দুর রশিদ, মো. মোবারক খান সুমন ও মো. শামীম পারভেজ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়াহিদ আল মাহফুজ, কে এম রাশেদ আহমেদ, টি এম আরিফ, মো. ইমরান হোসেন ও মো. জাকির হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী মো. নুরুল ইসলাম বেবি, রোজিনা শেখ আয়শা, শাহ মো. জিয়াউর রহমান, শেখ মো. আরিফুজ্জামান ও শেখ বদিউজ্জামান লিটু, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মনিরুল ইসলাম, মো. মোতালেব মিয়া ও মো. মোফাজ্জল হোসেন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী হাসানুর রশীদ ও শেখ মো. আনোয়ারুল কবির ফিরোজ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইমরান হোসেন মিয়া, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ হাফিজুর রহমান, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. এজাজ শেখ ও মো. নজরুল ইসলাম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ফরিদা বেগম, মো. আসাদুজ্জামান, মো. মেহেদী হাসান ও মো. লোকমান হাকিম, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুস সালাম, মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও মো. হাছান চাঁন।

আরও পড়ুন: বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া ৯ জনসহ কাউন্সিলর হলেন যারা

এ ছাড়া সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ১৫ কাউন্সিলর প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

তারা হলেন: ২ নম্বর ওয়ার্ডে পারভীন আক্তার ও লীনা আক্তার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মর্জিনা বেগম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাসলিমা আক্তার ও নাসিমা আক্তার কাজল, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মৌসুমী আক্তার বর্ণা, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খাদিজা আক্তার ও লাকী আক্তার, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঝুমুর বেগম ও সুমা আক্তার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেখা খানম, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আঞ্জুয়ারা বেগম, নিয়তি রায়, মাসুদা খানম ও হোসনেয়ারা।

প্রসঙ্গত সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়। ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করা হয়।
 

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *