<![CDATA[
চলমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। দলীয় প্রার্থী না দেয়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের প্রতিও নিদের্শনা ছিল, কেউ যেন নির্বাচনে না দাঁড়ায়। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (কেসিসি) কাউন্সিলর পদে লড়েছেন বিএনপির ৭ নেতা। এতে একদিকে তারা যেমন দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন, তেমনি কেউই নির্বাচনের ফসল ঘরে তুলতে পারেননি।
সোমবার (১২ জুন) কেসিসি নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পড়লেও, বিএনপির ৭ নেতার একজনও জয় পাননি।
নির্বাচনে লড়াই করা বিএনপির সাত নেতা হলেন: ৫নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সদস্য সাজ্জাদ আহসান তোতন, ৯নং ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাজী ফজলুল কবির টিটো, ১৯নং ওয়ার্ডে আশফাকুর রহমান কাকন, ২২নং ওয়ার্ডে মাহাবুব কায়সার, ২৪নং ওয়ার্ডে শমসের আলী মিন্টু, ৩০নং ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর আমান উল্লাহ আমান এবং সংরক্ষিত ৯নং ওয়ার্ডের মাজেদা বেগম।
এর মধ্যে ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশফাকুর রহমান কাকন ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক। ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাবুব কায়সার আগেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি শমসের আলী মিন্টু ও মাজেদা বেগম বিএনপির কোনো কমিটিতেই নেই।
যদিও ফল প্রকাশের পর এ বিষয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: খালেকে আস্থা খুলনাবাসীর, বরিশাল পেল নতুন মুখ
এর আগে রাত পৌনে ৯টার দিকে মেয়র পদের ফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলে, ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীকের তালুকদার আবদুল খালেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখার মো. আবদুল আউয়াল ৬০ হাজার ৬৪, লাঙলের শফিকুল ইসলাম মধু ১৮ হাজার ৭৪, টেবিলঘড়ির শফিকুর রহমান ১৭ হাজার ২১৮ এবং গোলাপ ফুলের সাব্বির হোসেন পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৬ ভোট।
খুলনায় এবার সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন পদ্ধতি হওয়ায় ভোট দিতে কিছুটা ভোগান্তির খবর পাওয়া গেলেও, মোটাদাগে ভালোভাবেই শেষ হয়েছে রূপসা পাড়ের শহরের নির্বাচন।
এই নির্বাচনে ৫ মেয়রপ্রার্থীসহ ১৮০ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন।
খুলনা সিটির ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৩ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
]]>