Skip to content

কোন পথে যাচ্ছে মোখা | বাংলাদেশ

কোন পথে যাচ্ছে মোখা | বাংলাদেশ

<![CDATA[

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রুতগতিতে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। কতটা শক্তি নিয়ে মোখা উপকূলে আঘাত হানবে বা মোখার গতিপথ নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আসাদুর রহমান। এদিকে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে।

তবে ঘূর্ণিঝড় মোখা ১৪ মে (রোববার) ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিবেগ দ্রুত বাড়ায় উপকূলের সঙ্গে কমছে এর দূরত্ব। বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

 

শনিবার (১৩ মে) রাজধানীতে আবহাওয়া অধিদফতরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সবচেয়ে ঝুঁকিতে-

সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়া।

 

আরও পড়ুন: আরও এগিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা, বাতাসের গতি ১৭৫

 

সুপার সাইক্লোন-

 

এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর উত্তর পূর্ব দিকে বাঁক নিয়েছে। সুপার সাইক্লোন হবে কি না সেটি এখনও পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে। তবে সিডরের মতো হতে পারে। সব সময় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। 

 

মোখার প্রভাবে ভারি বর্ষণে ৫ জেলায় ভূমিধসের আশঙ্কা-

 

ঘূর্ণিঝড় মোখা আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

 

কক্সবাজারে প্রস্তুত হিসেবে বিভিন্ন সংস্থার ১০ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে উপকূল থেকে ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সারা দেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

 

সকাল থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ রয়েছে।

 

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রাথমিকভাবে ৪২ ঘণ্টা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। শনিবার (১৩ মে) সকাল ৬টা থেকে পরদিন রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত বিমানবন্দরটিতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে।

 

মোখার সবশেষ অবস্থান দেখতে ক্লিক করুন

 

রাত থেকে এলএনজি টার্মিনালে বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ।

 

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

 

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ-

 

পণ্য খালাস বন্ধ করে দিয়েছে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম বন্দর। জেটিতে অবস্থানরত বড় জাহাজগুলোকে বহির্নোঙরে চলে যেতে বলা হয়েছে। লাইটার জাহাজগুলোকে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু এলাকার দিকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

 

৫-৭ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে উপকূলীয় জেলা-

 

ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চীদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

 

আজ সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার উপকূলে মোখার প্রভাব শুরু হতে পারে-

 

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব ১৩ মে (শনিবার) সন্ধ্যা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ ছাড়া পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে (রোববার) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

 

আরও পড়ুন: দুপুরের মধ্যেই ৮০ কিমি বেগে ঝড় হবে যেসব জেলায়

 

৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত-

ঘূর্ণিঝড় মোখার ফলে চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তবে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

৫ বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত-

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ১৪ তারিখের (রোববার) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

 

মিয়ানমারে বাড়িঘর ছাড়চ্ছেন হাজারও মানুষ-

বাংলাদেশ ও মিয়ানামার উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকা ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব থেকে বাঁচতে মিয়ানমারে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছেন হাজার হাজার মানুষ।

 

কক্সবাজার সৈকতের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

 

হালকা বৃষ্টি ও সতর্কতা সংকেত উপেক্ষা করে সাগরে নামছেন কিছু পর্যটক। লাইফগার্ডের নির্দেশনাও মানছেন না তারা। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় স্বার্থে সমুদ্রসৈকতের সব কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকবে।

 

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারে বৃষ্টি, সাগর উত্তাল

সেন্ট মার্টিনের সব হোটেল-মোটেল-রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।  

চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *