<![CDATA[
মাদারীপুরে খাদ্য সংকট থাকায় লোকালয়ে বেড়েছে বানরের উৎপাত। প্রতিনিয়তই বাসাবাড়িতে হামলা করছে গেছো এ প্রাণী। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় কমেছে এর সংখ্যাও। ভারসাম্য রক্ষায় বানরগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান স্থানীয়দের। বন কর্মকর্তা জানান, সাধ্যমতো খাবার দেয়া হচ্ছে বানরদের। খাবার বিতরণে অনিয়ম থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাদারীপুরের নয়াচর ও চরমুগরিয়া এলাকা। খাবারের সন্ধানে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছে বানর। কখন ফল গাছে, কখনো বা ঘরের চালে। সকাল থেকে বিকেল, এভাবেই দল বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে বানরদল। পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় বাসাবাড়িতেও হানা দিচ্ছে তারা। অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানায়, সরকারিভাবে বানরের জন্য খাবার বরাদ্দ থাকলেও তা নিয়মিত দেয়া হয় না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। একটা সময় বানরের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত ছিল চরমুগরিয়া এলাকা। একদিকে খাদ্য সংকট, অন্যদিকে ঘনবসতি দুই কারণেই কমে গেছে বানরের সংখ্যা। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এ প্রাণীকে টিকিয়ে রাখার আহ্বান এলাকাবাসীর।
চরমুগরিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ আফজাল বলেন, ‘বানর সারাক্ষণ উৎপাত করে। সরকার থেকে খাবারের যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তা কখনই চোখে পড়ে না। এক বা দুই সপ্তাহ পরে একদিন খাবার দিয়ে গেলে, আর কোনো খবর থাকে না। এজন্য প্রতিনিয়তই বাসা-বাড়ি ও দোকানে খাবারের জন্য বানর হানা দেয়। এছাড়া গাছের ফলও খেয়ে ফেলে বানর। নষ্টও করে।’
আরও পড়ুন: খাবারের সন্ধানে কুড়িগ্রামের লোকালয়ে বানর
ইয়াকুব মোল্লা নামে আরেকজন বলেন, ‘বানরের কোনো খাবার না থাকায় গাছের ফল খেয়ে তছনছ করে। সরকারিভাবে মাঝে মাঝে খাবার দিলেও পর্যাপ্ত না হওয়ায় অতিষ্ঠ করে ফেলছে এ প্রাণী। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বানরগুলোকে পর্যাপ্ত খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন।’
মাদারীপুরের বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, বরাদ্দ কম থাকায় বিভিন্ন স্পটে মাসে ১২দিন খাবার দেয়া হচ্ছে বানরদের। মাদারীপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ৮ হাজার বানর থাকলেও বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজারে। চলতি অর্থবছরে বানরের জন্য খাবারে বরাদ্দ দেয়া হয় ২৭ লাখ টাকা।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, ‘বানরের খাবার বিতরণে কোনো অনিয়ম থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর কি কারণে বানরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে।’
]]>