<![CDATA[
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে বন্দর থেকে সব জাহাজ গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। গভীর সাগরে সার্বক্ষণিক জাহাজের ইঞ্জিন চালু রাখাসহ জাহাজগুলোকে নির্ধারিত দূরত্বে নোঙর করতে বলা হয়েছে।
সাগরে জাহাজগুলোকে পাঠিয়ে দেয়ার ফলে বর্তমানে ৬২টি জাহাজ নিত্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে গভীর সাগরে ভাসছে। এর আগে ৪২টি পণ্যবাহী জাহাজ বন্দরগুলোর বহির্নোঙরে অবস্থান করছিল।
সাধারণত পণ্যবাহী জাহাজগুলো আকারে বেশ বড় হয়ে থাকে। তাই সাগর উত্তাল হলেও এসব জাহাজ ঢেউয়ের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে টিকতে পারে। কিন্তু জেটিতে থাকলে ঢেউয়ের ধাক্কায় জেটিতে আঘাত লেগে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাই জেটি থেকে সব জাহাজ সরিয়ে গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যাতে করে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর উত্তাল হলেও এসব জাহাজ ঢেউয়ের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে টিকতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘মোখা’ মোকাবিলায় কক্সবাজারে জরুরি ফোন নম্বরের তালিকা
এ ছাড়া বন্দরের কাছে থাকলে এসব জাহাজ চ্যানেলে ডুবে নৌপথ বন্ধ করে দেয়ার শঙ্কা থাকে। সে জন্য ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, দুর্ঘটনা এড়াতে বড় জাহাজগুলো সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সাগরে পাঠানো জাহাজগুলো যাতে সার্বক্ষণিক ইঞ্জিন চালু রাখে এবং এক জাহাজ থেকে আরেক জাহাজ নির্ধারিত দূরত্বে নোঙর করে সে জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
]]>