<![CDATA[
রাজধানীর ধানমন্ডি সাত মসজিদ সড়কে নির্বিচারে গাছ কাটার প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি থেকে উন্নয়নের নামে গাছ কাটা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।
এ সময় বেলার নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, যে সিটি করপোরেশন উন্নয়নের নামে গাছ কাটে, সে সিটি করপোরেশন আমাদের না। সিটি করপোরেশন যদি সৌন্দর্যবর্ধনের নামে গাছ কাটে, তাদের বলতে চাই গাছের চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই। যারা গাছ কাটেন তাদের হত্যাকারী বলে উল্লেখ করেন তিনি। গাছ কাটার আগে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সাল পর্যন্ত গাছ কাটা যাবে না
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সমাজকর্মী খুশি কবীর বলেন, আমাদের শহর বাসযোগ্য নয়, এমন তালিকায় নিচের দিকে। এ অবস্থায় আমাদের শহরকে বাসযোগ্য এবং সুন্দর করতে চাইলে গাছের কোনো বিকল্প নেই। রাতের অন্ধকারে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে গাছ কাটা মেনে নেয়া যায় না। আমাদের শহরে এখন মাস্ক ছাড়া চলাচল করা যায় না। এসবের কারণ হলো দূষণ ও গাছ না থাকা। এ অবস্থায় আরও গাছ কাটার মধ্য দিয়ে ঢাকাকে মেরে ফেলা হচ্ছে। তিনি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি সুলতানা কামাল বলেন, আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে নগর বাঁচানো এবং নগরপিতাকে তার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া। গাছের উপকারিতা কী, সে বিষয়ে মেয়রকে নতুন করে কিছু বলার নেই। আজ প্রতিটি সূচকে ঢাকার মান নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। আমাদের শিশু-বয়স্কসহ সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বাড়ার জের, জ্বালানি চাহিদা পূরণে গাছ কেটে বন উজাড়
তিনি আরও বলেন, আজ ঢাকা তাপীয় নগরে পরিণত হয়েছে। আমাদের জলাশয় বন্ধ করে, গাছ কেটে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। গাছ কেটে নগরীর বাসযোগ্য ভারসাম্য নষ্ট করা হচ্ছে। তিনি মেয়রকে গাছ কাটা বন্ধের পাশাপাশি বিশিষ্টজন এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানান।
কর্মসূচিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং শিক্ষার্থী অংশ নেন।
]]>