<![CDATA[
গ্রিস স্থাপত্যের আদলে খাগড়াছড়িতে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের প্রথম ‘অ্যাম্পিথিয়েটার’।
নান্দনিক ‘অ্যাম্পিথিয়েটারে’ প্রতি শুক্র ও শনিবার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা তাদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরে পরিবেশন করছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সমতল থেকে আগত পর্যটকরা পাহাড়ের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে পর্যটন খাত আরও বিকশিত হবে বলে মনে করেছে সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে অন্তত ৬০০ ফুট উচ্চতায় খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটনকেন্দ্র আলুটিলা। সেখানেই নবনির্মিত দেশের প্রথম অ্যাম্পিথিয়েটারে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা। তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেছেন আগত পর্যটকরা। সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের জন্য পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও লোক নাট্য পরিবেশন করে থাকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: ইংলিশ অলিম্পিয়াডের থিয়েটার রাউন্ডের প্রথম দিন সম্পন্ন
খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা পর্যটক মো. সেলিম, রেকশানা বেগম, মো. রফিক ও নাজমুল নাহার জানান, এখানকার শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দেখে আমরা মুগ্ধ।
খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক জিতেন চাকমা জানান, খাগড়াছড়ির পর্যটনশিল্পের বিকাশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট কাজ করছে। এর মধ্য দিয়ে পাহাড়ের সংস্কৃতি পুরো দেশের মানুষ জানতে পারবে বলে মনে করছে সংস্কৃতি কর্মীরা।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় সপ্তাহেও উত্তর আমেরিকার ৩৫ থিয়েটারে বইছে ‘হাওয়া’
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে অ্যাম্পিথিয়েটার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে পাহাড়ের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির বিকাশের পাশাপাশি জেলার পর্যটন অর্থনীতি আরও বিকশিত হবে। এই অ্যাম্পিথিয়াটারে একই সঙ্গে এক হাজার দর্শক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করতে পারবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।
]]>