<![CDATA[
সময়টা ২০০৯। ওই বছরের ৯ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে রিপন নাথ নামে একজনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।
মাদকবিরোধী সেই অভিযানে অংশ নেন মতিঝিল এলাকার বাসিন্দা পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া। আটক রিপন নাথ জেল থেকে বেরিয়ে গ্রেফতারের প্রতিশোধ নিতে ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কনস্টেবল বাদল মিয়াকে শাহবাগ থেকে অপহরণ করে। পরে মতিঝিল কালভার্ট রোড এলাকায় নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ টিঅ্যান্ডটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের রোডে ফেলে যায়।
আরও পড়ুন: জীবনের নিরাপত্তা চেয়েও বাঁচতে পারেনি নাদিম
শুক্রবার (১৬ জুন) র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনার ১০ বছর পর মূল হোতা রিপন নাথকে গ্রফতার করেছে র্যাব।
আল মঈন বলেন, মরদেহের পকেট থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মাধ্যমে তারা জানতে পারে অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহটি বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল বাদল মিয়ার।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় রিপন নাথসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে বিচারিক কাজ শেষে আদালত ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এ ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলো রিপন নাথ। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (১৪ জুন) রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী রিপন নাথকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলেও জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক।
আরও পড়ুন: মুগদায় চালককে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা
আত্মগোপনে থাকাকালীন গাড়ি চালাতো রিপন। একই সঙ্গে সে মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গেও জড়িত ছিলো বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিক করেন র্যাবের এ কর্মকর্তা।
]]>