<![CDATA[
বরগুনায় মাছ ধরার ট্রলারে গুলি ও হামলায় অংশ নেয় ১৮ থেকে ২০ সদস্যের একটি দল। চট্টগ্রাম বেল্টের কয়েকটি ডাকাত দল থেকে বাছাই করা সদস্যদের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় এই জলদস্যুর দল। র্যাব-৭ এর হাতে আটক ৪ জন এ তথ্য জানায়।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে বাঁশখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটকরা হলেন মো. কাউসার, মো. জাহিদ, মো, সেলিম ও মো. ইকবাল। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে বোয়ালখালী জেলার বিভিন্ন থানায়।
আরও পড়ুন: ট্রলারে ডাকাতি /৮ জেলেকে কুপিয়ে জখম, একজন গুলিবিদ্ধ
লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব আলম বলেন, ‘১৭ ফেব্রুয়ারি বরগুনার এফবি ভাই ভাই ট্রলারে আক্রমণের জন্য ডাকাত দলটি আটক সেলিমের বোট ব্যবহার করে। ঘটনার পর থেকে চিরুনি অভিযান অব্যাহত রাখা র্যাব -৭ এর গোয়েন্দা নজরদারিতে বাশঁখালীর একটি বোটের জলদস্যুতা সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়। সেই তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহার করা ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, মোবাইল ও টাকা জব্দ করা হয়। এরমধ্যে একটি মোবাইল বরগুনা জেলেদের হওয়া নিশ্চিত হওয়া যায় এ দলটিই ওই জলদস্যুতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। দলটি চট্টগ্রাম অঞ্চলে ডাকাতি করলেও সম্প্রতি এ এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় নতুন টার্গেট স্থান নির্ধারণ করে বরগুনাকে। বরগুনায় ডাকাতির আক্রমণে ১৮ থেকে ২০ সদস্যের একটি দল অংশ নেয়। এবং এটি কোনো একক জলদস্যু দল ছিলো না। মূলত বাঁশখালী, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া এ এলাকার কয়েকটি ডাকাত দলের বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে এ বড় ডাকাত দল গঠন করা হয়। অভিযানে মূলহোতাকে আটক করা না গেলও কুপিয়ে জেলেদের জখম ও ২০ লাখ টাকার মতো মালামাল লুটের ঘটনা স্বীকার করেছে আটকরা।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮ জেলে নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাত্রা শুরু করে এফবি ভাই ভাই নামের ট্রলারটি। গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুরা হামলা করে। এ সময় নয় জেলেকে জিম্মি করে ট্রলারে থাকা মালামাল লুটে নেয় তারা। এ ছাড়া ৯ জেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় ১৩ জেলেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও এখনো খোঁজ মেলেনি পাঁচ জেলের।
]]>