<![CDATA[
দোয়েল-কোয়েল-ময়না-টিয়া চার যমজ কন্যা সন্তান। মা-বাবার ও পরিবারের সদস্যদের আদর যত্নে বেড়ে উঠছিল তারা। চার বোনের মধ্য টিয়া মারা গেছে। শ্বাসনালিতে খাবার চলে যাওয়ার ফলে মারা যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে টিয়াকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে শিশু কনসালটেন্ট ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে রাতেই গ্রামের কবরস্থানে ওই শিশুকে দাফন করা হয়।
চার কন্যা সন্তানের মা কল্পনা বলেন, ‘আমার চার সন্তান সুস্থ ছিল। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিয়মিত খাবার খেয়েছে। হঠাৎ করে বিকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে টিয়াকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকনের কাছে নিয়ে যাই। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন টিয়া মারা গেছেন।’
চার কন্যার বাবা মাহবুল বলেন, কখনও ভাবেনি টিয়া মারা যাবে। সারা দিন ভাল ছিল। বিকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নেয়া হয়। খেয়ে না খেয়ে চার সন্তানকে বড় করছিলাম। কিন্তু আল্লাহ একটি সন্তানকে দুনিয়া থেকে তুলে নিলেন। রাতেই টিয়ার মরদেহ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম, পরিবারে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, ‘আমার কাছে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসে। বাচ্চাটি সারাদিন ভাল ছিল বলে পরিবারের সদস্যরা আমাকে জানায়। চার সন্তান নিয়মিত আমার কাছ থেকে চিকিৎসা নিত। শ্বাসনালীর ভিতরে খাবার চলে যাবার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খাবার যাওয়ার কারণে সুস্থ বাচ্চাও মারা যেতে পারে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘টিয়া নামের শিশুটি মারা গেছে বলে আমাকে জানিয়েছে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। চার কন্যা সন্তানের নাম আমি রেখেছিলাম পরিবারের অনুরোধে। টিয়া মারা যাওয়ায় কষ্ট পেয়েছি। ঈদের আগের দিনও আমি পরিবার নিয়ে তাদের বাড়িতে ছুটে গিয়েছি।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৯মে চুয়াডাঙ্গার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে মাহবুল-কল্পনার ঘর আলো করে জন্ম নেয় চার যমজ কন্যা সন্তান। দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিল তারা।
]]>