Skip to content

চা বাগানগুলোয় চলছে প্রুনিং কার্যক্রম | বাণিজ্য

চা বাগানগুলোয় চলছে প্রুনিং কার্যক্রম | বাণিজ্য

<![CDATA[

চায়ের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে মৌলভীবাজারের চা বাগানগুলোতে প্রুনিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

গাছকে দীর্ঘস্থায়ী ও সতেজ রাখতে চা গাছের ছাঁটাই পদ্ধতিকে প্রুনিং বলা হয়। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজারে বিভিন্ন চা বাগানে সরেজমিনে দেখা যায়, চা গাছে কচি পাতার উৎপাদন বাড়ানো ও গাছকে সুস্থ রাখতে প্রুনিং কাজে ব্যস্ত চা শ্রমিকরা।

বছর শেষে স্বাভাবিক নিয়মেই প্রতিটি বাগানের চা গাছে পাতা উৎপাদন সক্ষমতা কমে আসে। একই সঙ্গে চা গাছে ফুল আসায় নতুন কচি পাতা পাওয়াও কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই নতুন বছরের শুরুতে চায়ের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে মৌলভীবাজারের সব বাগানে সেকশনজুড়ে শুরু হয়েছে প্রুনিং।

প্রতি বছর মার্চের শুরু থেকে প্রায় ৯ মাস চা উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু থাকলেও ডিসেম্বরে এসে তা বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক এই সময় জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাগানগুলোতে চায়ের উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে আধুনিক পদ্ধতির প্রুনিং কাজ করা হয়। গাছের বয়স, মাটির উর্বরতাসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় রেখে প্রতিটি বাগানে প্রুনিং করা হয়।

আরও পড়ুন: অর্জিত হয়নি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

এরপর গাছের গোড়ার আগাছা পরিষ্কার করে সার প্রয়োগ করা হয়। পরে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি পেয়ে গাছ সতেজ হয়ে কচি পাতায় ভরে ওঠে। নিয়ম অনুযায়ী, লম্বায় আট ইঞ্চি পরিমাণের পাতা জন্মালে মার্চ বা এপ্রিলে পাতা তোলা শুরু হয়।

চা শ্রমিকরা জানান, এক বছর পরপর আমরা প্রুনিং করি। এরপর খুব সুন্দর পাতা আসে।

চায়ের উৎপাদন বাড়াতে চা গাছে প্রুনিংয়ের বিকল্প কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বাগানসংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট শাখার চেয়ারম্যান জিএম শিবলী বলেন, চায়ের পাতাই হচ্ছে আসল জিনিস। যত পাতা গজাবে তত ভালো। তাই প্রুনিং করা হচ্ছে।

জেলায় জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ছোট বড় ৯৩টি চা বাগানে এ প্রুনিংয়ের কাজ চলবে।

 

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *