<![CDATA[
‘ছেলের কিডনির চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছ থেকে সহায়তা হিসেবে ৭০ হাজার টাকা জমিয়েছিলাম। আগুনে পুড়ে সব শেষ।’ একথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজধানীর ভাষানটেক বস্তির বাসিন্দা রীনা বেগম।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর ভাষানটেক বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ থেকে ৬টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ সময় আগুন নেভাতে গিয়ে আরও ৪ থেকে ৫টি ঘর ভেঙে ফেলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৮টার দিকে বস্তির একটি রান্নাঘর ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে ৫টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। সহায় সম্বল হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ক্ষতিগ্রস্তরা।
আরও পড়ুন: ভাষানটেক বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
এ ঘটনায় কেবল রীনা বেগমই নন, তার মতো সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন ১০ থেকে ১৫টি পরিবার। তার মতো ক্ষতিগ্রস্ত আরেক নারী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় জীবন বাঁচাতে ঘর ছেড়ে বের হয়েছি। কষ্টে জমানো অর্থ, তিলে তিলে গড়া সংসারের জিনিসপত্রসহ সবকিছুই শেষ।
স্থানীয়রা বলেন, বস্তিতে ঢোকার রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পৌঁছাতে সময় লেগেছে। ছিল পানির সংকটও। এ কারণে ক্ষতি বেশি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিরপুর স্টেশনের ইনচার্জ সাহাব উদ্দিন জানান, আগুন নেভাতে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট সময় লেগেছে। প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
]]>