<![CDATA[
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে (জামুকা) জাল মুক্তিযোদ্ধা তৈরির কারখানা উল্লেখ করে অবিলম্বে এ কাউন্সিল বাতিলের দাবি জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সদস্যরা।
এ সময় তারা জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অমুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
এ সময় সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ভুপাল চন্দ্র নন্দী বলেন, পাক-হানাদারদের দোসরদের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করায় আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারাই এখন মুক্তিযোদ্ধা টাইটেল লাগিয়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হটাতে মানববন্ধন
এসময় জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার এবি সিদ্দিক জানান, জামুকা ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে বার বার আবেদন জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল করা হলেও অদৃশ্য কোনো ছায়ায় তারা আবার আপিলের মাধ্যমে সনদ ফিরে পায়।
লিখিত বক্তব্যে কিশোরগঞ্জ সদর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপাল চন্দ্র নন্দী অভিযোগ করে বলেন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় চারজন রাজাকারের নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বার বার অভিযোগ করার পরও মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে এলাকায় রাজাকার হিসেবে পরিচিত মো. রফিক, মো. মরম আলী মোল্লা, মো. আজিম উদ্দিন ও সুলতান আহম্মদের নাম বাদ দেয়া হয়নি। এমনকি জামুকা প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা সমন্বিত তালিকায় তাদের নাম প্রকাশ হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোমতাজের স্বীকৃতি মেলেনি আজও
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে জাল মুক্তিযোদ্ধা কারখানা উল্লেখ করে অবিলম্বে এ কাউন্সিল বাতিল করার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার আজিম উদ্দিন, সহকারী কমান্ডার এ বি সিদ্দিক, মো. নূরুর হক, জয়নাল আবেদিন ও মানিক চন্দ্র সরকার প্রমুখ।
]]>