<![CDATA[
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে ম্যাচটি শুরু হওয়ার সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে খেলা শুরু না হলে ম্যাচটি পরিত্যক্ত করা হবে।
মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেল পৌঁনে ৪টায় ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মাঠে নামে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে আয়ারল্যান্ড ১৬.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৫ রান তুলতেই শুরু হয় বৃষ্টি। বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ২০ মিনিটের মধ্যে বৃষ্টি থেমে খেলা শুরু না হলে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: চেমসফোর্ডে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের
ওয়ানডে সিরিজে ম্যাচ চলাকালীন বৃষ্টি আইনে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করার জন্য ন্যূনতম ২০ ওভারে খেলা শেষ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশ দল করতে পেরেছে ১৬.৩ ওভার। তাতে বৃষ্টি আইন প্রয়োগ করে ফল নির্ধারণ সম্ভব না। সেক্ষেত্রে খেলা মাঠে আর না গড়ালে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হবে।
এ দিকে ২৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। এরপরে উইকেটে রান তোলার চেষ্টা করেছিলেন স্টিফেন ডোহেনি ও হ্যারি টেক্টর। তবে ১৫.২ ওভারে ওপেনার ডোহেনিকে বিদায় করে ম্যাচে লাগাম টানার চেষ্টা করেন তাইজুল ইসলাম।
১৬.২ ওভারে টেক্টরের বিপক্ষে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। মুশফিক-এবাদত প্রথমে ভেবেছিলেন ক্যাচ আউট হবে। সেজন্য রিভিউ নেন তামিম। তবে রিভিউতে দেখা যায় বল টেক্টরের ব্যাটে লাগেনি, এমনকি এলবিডব্লিউও হয়নি। তাতে অপরাজিত থাকেন আইরিশ ব্যাটসম্যান।
এ দিকে বাংলাদেশের রিভিউ নেয়ার পরের বল মাঠে গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। আম্পায়ার তখন খেলা বন্ধ করার ঘোষণা দেন। মাঠ ছাড়ার আগে ২১ রানে হ্যারি টেক্টর ও ২ রানে লোরকান টাকার অপরাজিত রয়েছেন।
এ দিন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছেন সাকিব আল হাসান (২১ বলে ২০ রান), নাজমুল হোসেন শান্ত (৬৬ বলে ৪৪ রান) ও তাওহিদ হৃদয় (৩১ বলে ২৭ রান)। তবে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আউট হয়েছেন তারা।
এদিক থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম মুশফিকুর রহিম। ৩০.৪ ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে পয়েন্টে দাঁড়ানো হ্যারি টেক্টরের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। তবে সহজ ক্যাচটি হাতে রাখতে পারেননি টেক্টর। জীবন পেয়ে ১৯ রানের ইনিংসকে টেনে হাফ সেঞ্চুরিতে রূপ দেন তিনি। তবে মুশফিকও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হন।
আরও পড়ুন: জয়ের পরও বিসিবির কাছে উপেক্ষিত নারী ক্রিকেট
৪৪.৫ ওভারে দলীয় ২২০ রানে জোশুয়া লিটলের বলে সুইপার কাভারে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তাতে জন্মদিনে সেঞ্চুরি পাওয়া হলো না মিস্টার ডিপেন্ডেবলের। মুশফিক ৭০ বল থেকে ৬টি চারের সাহায্যে করেন ৬১ রান। ম্যাচটিতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। মুশফিকের পরে তাইজুল-শরিফুল মিলে ২০ বলে ১৯ রান করেন। তাতে বাংলাদেশ ২৪৭ রানের লক্ষ্য দেয় আয়ারল্যান্ডকে।
]]>