Skip to content

জুরাইনে গ্যাস লিকেজে দগ্ধ মুক্তার মৃত্যু | বাংলাদেশ

জুরাইনে গ্যাস লিকেজে দগ্ধ মুক্তার মৃত্যু | বাংলাদেশ

<![CDATA[

রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন মুক্তা খাতুন (৩০) মারা গেছেন। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সোয়া ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। এরআগে রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে মাদবর বাজার সলিমুল্লাহ রোড মন্নান মাস্টারের ৪তলা বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মুক্তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনায় দগ্ধ বাকি ৪ জন হলেন, মুক্তার বাবা ফুসকা বিক্রেতা আলতাফ সিকদার (৭০), মা গৃহিণী মর্জিনা বেগম (৫৫), স্বামী আতাহার (৩৫) এবং মেয়ে আফসানা (৫)।

 

আরও পড়ুন: গভীর রাতে গ্যাস বিস্ফোরণ, এক পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা আলতাফ শিকদারের শ্যালক মো. মাহবুব ঘটনার দিন জানান, ওই রাতে তিনি খবর পান, আলতাফ শিকদারের বাসায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তখন তিনি ওই বাসায় গিয়ে অন্যদের সহযোগিতায় দগ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তিনি জানান, ওই বাসায় তিতাসের গ্যাস সংযোগ রয়েছে। তবে সকালে লাইনে গ্যাস থাকে না। সকালে খাওয়ার জন্য মধ্যরাতেই তারা রান্না করে রাখেন। তার ধারণা, নিচতলা বাসায় রাতে গ্যাস লিকেজ হয়ে ভেতরে গ্যাস জমে ছিল। মধ্য রাতে রান্নার সময় সেখান থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

স্বজনরা জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায়। এক সপ্তাহ আগে মেয়ে মুক্তা খাতুন, তার স্বামী এবং মেয়েকে নিয়ে জুরাইনে বাবার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক  চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম  জানান, আতাহার আলীর ৫৫ শতাংশ, আফসানার ২৫ শতাংশ, মর্জিনার ৫ শতাংশ ও আলতাফের ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *