<![CDATA[
বাবা-মা হারানো এতিম শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছেন জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক। এতে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম শিশু পরিবার একাদশ মুখোমুখি হয়।
রোববার (০২ জুলাই) বিকেলে জেলা শহরের আরামনগর মহল্লার সরকারি শিশু পরিবারের (বালক) সবুজ মাঠে এ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় জেলা প্রশাসন একাদশের কাছে শিশু পরিবার একাদশ ২-৪ গোলে হারলেও এমন আয়োজনে বাঁধভাঙ্গা আনন্দে মেতে ওঠেন অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোররা।
এদিনের পড়ন্ত বিকেলে সরকারি শিশু পরিবারের সবুজ মাঠে খেলার মাত্র ৬ মিনিটের মাথায় জেলা প্রশাসনের পক্ষে ১০ নম্বর জার্সিধারী জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে শুভ সূচনা করেন। এরপর ২-২ গোলে প্রথমার্ধ শেষ হলেও শেষাবধি ৪-২ গোলের ব্যবধানে জেলা প্রশাসন একাদশ জয়ী হয়।
তবে এমন আয়োজনে বাঁধভাঙ্গা আনন্দ কাজ করে শিশু পরিবারের এতিম শিশু-কিশোরদের মাঝে।
প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র ও এ ম্যাচের খেলোয়াড় আশিক, রাফি ও রফিক বলেন, ‘আমরা কখনো চিন্তা করিনি যে, আমাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক স্যার খেলাধুলা করবেন। এই খেলা আমাদের ঈদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে পাহাড়ি-সমতল প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
পুরো ৯০ মিনিটের খেলা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন মাঠের দুই পাশে বসা দর্শকরা। তারা জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী এমন ফুটবল ম্যাচকে স্বাগত জানিয়ে আগামী দিনেও এমন আয়োজন দেখতে চান বলে জানান।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির উপ-তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান জানান, সরকারি শিশু পরিবারের মা-বাবা হারা এতিম শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এমন আয়োজন।
জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী বলেন, ‘এই আয়োজন শিশু-কিশোরদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ও শৈশবে ফিরিয়ে যাওয়ার জন্য। মা-বাবা হারানো ছেলেদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার আয়োজন। এছাড়া ফুটবলের মান উন্নয়নে ভবিষ্যতে ইউনিয়ন পর্যায়ে এমন প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনাও রয়েছে জেলা প্রশাসনের।’
ম্যাচটির প্রধান রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাহফুজা রাহাত এবং সহকারী রেফারির দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে সোনিয়া আকতার ও তানিয়া আকতার।
শেষে জেলা প্রশাসক শিশু পরিবারের সকল এতিম শিশু-কিশোর, অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে রাতের খাবার গ্রহণ করেন।
]]>