<![CDATA[
ডায়াবেটিস রোগ দুই ধরনের হয় টাইপ ১ ও টাইপ ২। আজকাল ছোট-বড় অনেকেই এ সমস্যায় ভুগছে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে মানুষের শরীর ইনসুলিনের পূর্ণ ব্যবহার করতে অক্ষম হয়ে যায়। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা অধিক মাত্রায় বেড়ে যায়। এজন্য আমাদের ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে গ্রহণ করা উচিত।
প্রিডায়াবেটিস হলো ডায়াবেটিস হওয়ার পূর্ব অবস্থা। কোনো ব্যক্তি প্রথমে নরমাল স্টেজে থাকেন। তারপর তিনি প্রিডায়াবেটিস স্টেজে থাকেন। এরপর তিনি ডায়াবেটিক রোগী হন। লাইফস্টাইল পরিবর্তন, স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ওয়ার্কআউটের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখা সম্ভব।
রক্তে শর্করার মাত্রা সামান্য বেশি হলেও তাকে প্রিডায়াবেটিস বলে। কিন্তু এই শর্করার পরিমাণ যখন মাত্রাছাড়া হয়, সেই অবস্থাকে টাইপ ২ ডায়াবেটিস বলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ডি শর্করার পরিমাণ বিপদসীমার বাইরে রাখে।
‘অ্যানাল অফ ইন্টারনাল মেডিসিন’ শীর্ষক একটি মেডিকেল পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য বলছে, শরীরের ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কমে গেলে নানা শারীরিক সমস্যার দেখা দিতে শুরু করে। এর মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সেই ঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত ভিটামিন ডি খাওয়া জরুরি। ভিটামিন ডি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে পারে।
আরও পড়ুন: এই শাকসবজির রসেই কমানো যাবে পেটের বাড়তি চর্বি
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে বেশি করে ভিটামিন ডি খেতে বলছেন চিকিৎসকরা। ভিটামিন ডি-এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। তবে দিনে ঠিক কতটা পরিমাণ ভিটামিন ডি খাবেন, তা কোনো চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন।
ভিটামিন ডি-এর সমৃদ্ধ উৎস হলো সূর্যালোক। এ ছাড়া বেশ কিছু খাবার থেকেও এই ভিটামিন পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি পেতে গেলে সুষম আহার প্রয়োজন। নানা ধরনের খাবার রাখতে হবে পাতে।
আরও পড়ুন: কুমড়ার এত স্বাস্থ্য উপকারিতা!
এজন্য দুধ বা দুগ্ধজাতীয় জিনিস খেতে হবে বেশি করে। সঙ্গে মাছ, মাংস, ডিমের কুসুমও খেতে হবে। ডিম প্রোটিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎস। অনেকেই কুসুম ছাড়া ডিম খান। অতিরিক্ত ফ্যাট এড়ানোর জন্য এমন করা হলেও, এতে হাতছাড়া হয় বিপুল পরিমাণ পুষ্টি। ডিমের কুসুমে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।
]]>