<![CDATA[
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় টিউবওয়েলের পানির সঙ্গে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে দুটি বাড়ির আট সদস্যকে অচেতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
শুক্রবার (০৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার পশ্চিম বীরকোট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থরা হলেন- একই এলাকার আবদুল মন্নান, তার স্ত্রী লুৎফুর নাহার, আবদুস সামাদ, তার স্ত্রী জহুরা বেগম, আবুল কালাম আজাদ বাবর, তার স্ত্রী ফরিদা আক্তার পারুল, ছেলে জহির উদ্দিন ও তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার কাউছার। তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুসের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে হত্যা করা হয়েছিল রবিউলকে
ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল মন্নান বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে খাবার খেয়ে দুই বাড়ির সব সদস্য ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতের কোনো এক সময়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ দুই লাখ ৫৭ হাজার টাকা, প্রায় সাড়ে ৬ ভরি স্বর্ণ এবং মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেশাজাত দ্রব্যে অচেতন স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাড়িগুলোর পাশে থাকা টিউবওয়েলের পানিতে অজ্ঞাত কেউ নেশাদ্রব্য দিয়ে রেখেছিলো। আর ওই টিউবওয়েলের পানি পান কারার পর আট সদস্য অচেতন হয়ে পড়েন। এ সুযোগে তাদের ঘরগুলো থেকে কিছু মালামাল লুট করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
]]>