<![CDATA[
ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা মামলায় এবার তিন আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এর আগে দুজনকে ছিনতাইয়ের পর এ আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানোর ওপর জোর দিয়ে চিঠি দেয়া হয়। বুধবার আদালতে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের হাজির করা হয়।
যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগ পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে কারা সদরদফতরে ডান্ডাবেড়ি পরানোর এ চিঠি পাঠায়।
আসামিরা হলেন- জিকরুল্লাহ ওরফে হাসান, আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ ওরফে এরফান ওরফে মুশফিক এবং মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে মানসুর। এরা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।
এদিকে, বুধবার (২৩ নভেম্বর) আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহ মো. মশিউর রহমান। বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম সাক্ষীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৩১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন তিনি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ি দীপিকার ঢাল এলাকায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যাওয়ার পথে খুন হন ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু। এর পরপরই জনতার সহায়তায় পুলিশ জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম নামে দুই মাদ্রাসাছাত্রকে আটক করে।
আরও পড়ুন: আদালতপাড়ার ঘটনাটি জঙ্গিদের পূর্ব পরিকল্পিত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফেসবুক ও ব্লগসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলাম ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করার কারণে ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জিকরুল্লাহ ও আরিফুল স্বীকার করেন। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
বাবু হত্যার ঘটনায় আটক জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলামসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে ওই রাতে তেজগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন বাবুর ভগ্নিপতি মনির হোসেন। পরে আটকদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের পাঁচ সদস্য জিকরুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, হাসিব আব্দুল্লাহ (পলাতক) ও আবু তাহের জুনায়েদের (পলাতক) বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৬ সালের ২০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান। ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু অভিযোগ গঠনে ত্রুটি থাকায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায় ঘোষণা পিছিয়ে পুনরায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর থেকে মামলাটির পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
]]>