Skip to content

ঢাকা মহানগরীতে চার হাজার চোরের বসবাস | বাংলাদেশ

ঢাকা মহানগরীতে চার হাজার চোরের বসবাস | বাংলাদেশ

<![CDATA[

রাজধানীতে একের পর এক ঘটছে দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের ঘটনা। সামান্য কিছু টাকা বা একটি মোবাইল ফোনের জন্য প্রাণ ঝরছে। চুরির ঘটনাও বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যে পাওয়া যায়, ঢাকা মহানগরীতে প্রায় চার হাজার চোরের বসবাস। পুলিশ তাদের খোঁজে রাজধানীতে চার দিনের বিশেষ অভিযান শুরু করেছে।

গত ২২ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী। সিসি ক্যামরার ফুটেজে একজনকে পালিয়ে যেতে দেখা গেলেও একাধিক ছিনতাইকারী ছিল বলে জানায় পুলিশ। ওইদিন সন্ধ্যায় হাঁটতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরা হয়নি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন মজুমদারের।

১৭ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকার একটি বাসা থেকে চুরি হয় ৪২ ভরি স্বর্ণ ও কয়েক হাজার মার্কিন ডলার। চোরচক্রটিকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, একেকজনের চুরির অভিজ্ঞতা ২০ থেকে ২৫ বছর। গত কয়েক মাসে শুধু রাজধানীতেই চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে অসংখ্য।

এসআইভিএস বা সাসপেক্ট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন নামে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে রাজধানীর ৫০টি থানার চোরচক্রের তথ্যব্যাংক তৈরি করেছে পুলিশ। ওই তালিকায় চুরির ধরন, মামলা, স্থায়ী-অস্থায়ী ঠিকানা, ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট ও চোরদের সবশেষ তথ্য লিপিবদ্ধ আছে। চুরি ও ছিনতাই সংক্রান্ত ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চোরের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি তেজগাঁও, মতিঝিল ও রমনা এলাকাতে।

রাজধানীতে বুধবার (২ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে পুলিশের চার দিনের বিশেষ অভিযান। চোর, ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে এ অভিযান।

আরও পড়ুন: কিশোর গ্যাংয়ের হামলার ৭ দিন পর মামলা নিল পুলিশ

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এ কেএম হাফিজ আক্তার সময় সংবাদকে বলেন, এসআইভিএস বা সাসপেক্ট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন নামে একটি সফটওয়্যার আমরা তৈরি করেছি। গ্রেফতার হওয়ার পর থানায় তাদের ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হয়। সামনে যদি একই রকম কাজ করতে থাকে সে, তাহলে আমাদের কাছে ডাটা তো আছে, সেটা নিয়ে আমরা জেনে যেতে পারব যে, সে কোথায় কোথায় চুরি করেছে।

আর্থিক অনটন, মাদকাসক্ত আর পেশাদার চোরচক্রের কারণে বাড়ছে এই ধরনের অপরাধ বলছেন সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক।

তিনি বলেন, চুরি-ছিনতাই যারা করছে, তাদের হয়তো আমরা সরাসরি দেখছি, এর পেছনে আরও অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা এসব কাজের পৃষ্ঠপোষক। যারা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে থাকে। এটি আমাদের এখানে বড় ধরনের ব্যস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে ব্যস্তবতার সঙ্গে অর্থের সংযোগটা বেড়ে যায়, তখন যে কোনো ধরনের অপরাধের সংখ্যাটা বেড়ে যায়।

এদিতে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর আসাদগেটে চলন্ত বাসে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এক যুবক। আহত হয় আরেকজন। 

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *