<![CDATA[
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এক যৌথ অভিযানে ৫৮৩ জন অনিয়মিত অভিবাসী ও মানবপাচার চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব অভিবাসীরা পাচার চক্রের সহায়তায় তুরস্ক দিয়ে কৃষ্ণসাগর হয়ে রোমানিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গেছে।
একটি বেআইনি প্রতিষ্ঠান সমুদ্রপথে অভিবাসীদের পাচার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের পর তুর্কি পুলিশের জেন্ডারমেরি শাখা, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এমআইটি) এবং কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
পুলিশের বরাতে তুর্কি গণমাধ্যম হুরিয়াত ডেইলি নিউজ জানিয়েছে, দীর্ঘ ১০ মাসের প্রযুক্তিগত এবং গোয়েন্দা নজরদারির পর এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদিতে ১১ হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রেফতার
অভিযানের অংশ হিসেবে শুরুতে তুরস্কের অর্নভুতকয় উপকূল থেকে নৌকায় যাত্রা করা বেশ কিছু অনিয়মিত অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
আরেকদল অভিবাসীকে নৌকায় উঠার আগে পাশের একটি বন থেকে আটক করা হয়েছিল। এভাবে মোট ৫৮৩ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা যায়, কৃষ্ণসাগর পাড়ি দিয়ে তুরস্ক থেকে রোমানিয়া যেতে অভিবাসীদের কাছ থেকে জনপ্রতি পাঁচ লাখ থেকে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করে থাকে পাচার চক্রের সদস্যরা।
ফাতিহ জেলার পাঁচটি বাড়িতে অর্থ আদান প্রদান এবং দুটি রেস্তোরাঁকে প্রায়শই অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাতের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ৪ লাখ ২২ হাজার অভিবাসীকে ইউরোপ ত্যাগের নির্দেশ
আরেকটি যৌথ অভিযানে পাচারকারী দলের ১৫ সন্দেহভাজনদের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের সবাই বিদেশি নাগরিক। আটকদের মধ্যে চারজন বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে জামিনে অস্থায়ী মুক্তি পেয়েছে।
সন্দেহভাজনদের বাড়িতে ও বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ছয়টি মাছ ধরার নৌকা, নয়টি অস্থায়ী জেট স্কি সদৃশ নৌকা, ১০টি গাড়ি, ৩৫টি পাসপোর্ট, একটি পিস্তল, ১২টি লাইফ জ্যাকেট, ২৫টি মোবাইল ফোন, এক জোড়া দূরবীন, বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ এবং নথি জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, পাচার চক্রের সদস্যরা তুরস্কে বসবাসের অনুমতি রয়েছে এমন আত্মীয়দের সাহায্য নিয়ে অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাতে ব্যবহার করা রেস্তোঁরাগুলো খুলেছেন।
]]>