Skip to content

তেহরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ শুরু করেছে পশ্চিমারা: রাইসি | আন্তর্জাতিক

তেহরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ শুরু করেছে পশ্চিমারা: রাইসি | আন্তর্জাতিক

<![CDATA[

দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভ ও পশ্চিমাদের চাপের মুখেই ইরানে ইসলামি বিপ্লবের ৪৪তম বার্ষিকী উদ্‌যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট রাইসি অভিযোগ করে বলেন, তেহরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ শুরু করেছে পশ্চিমারা।

ইরানের সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে জানায়, শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইসলামি বিপ্লবের ৪৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেশটির ১ হাজারেরও বেশি শহর এবং অন্তত ১০ হাজার গ্রামের মানুষ শোভাযাত্রা বের করে। এতে জনসমুদ্রে রূপ নেয় রাস্তাঘাট। তবে, মূল আয়োজন হয় ঐতিহাসিক আজাদি স্কয়ারে। সেখানে যোগ দেন লাখো মানুষ।

 

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ‘আমাদের সবার উচিত এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া। শাসনব্যবস্থার প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। তাকে কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল যতই চেষ্টায় করুক না কেন, তারা বারবার ব্যর্থ হবে। ইরানের জনগণ তাদের নেতাদের সঙ্গে আছে, থাকবে।’

আজাদি স্কয়ারের অনুষ্ঠানে অংশ নেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় তিনি ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে ইরান বর্তমানে নানা অঙ্গনে অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে দাবি করেন।

দেশটিতে হিজাব ইস্যুতে চলমান বিক্ষোভ পশ্চিমাদের তৈরি উল্লেখ করে রাইসি বলেন, তেহরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ শুরু করেছে পশ্চিমারা। তেহরানের উন্নয়ন শত্রুরা সহ্য করতে পারছে না। আর তাই ইরানের জনগণকে দেশের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও এ ক্ষেত্রেও পশ্চিমারা ব্যর্থ হয়েছে।

আরও পড়ুন: মাটির নিচে বিমানঘাঁটি বানিয়েছে ইরান

তিনি বলেন, ‘শত্রুরা নতুনভাবে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল। তারা ভেবেছিল আমাদের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করবে। কিন্তু তারা জানে না যে, যাদের সহিংসতায় লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল, তারা ইরানের প্রতিনিধিত্ব করত না। আজ বিপ্লবের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে জনতার ঢল নেমেছে, তারাই হচ্ছে এ দেশের প্রকৃত প্রতিনিধি।’

অনুষ্ঠান শেষে এদিন একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। তাতে বলা হয়, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র ও শ্রেণি নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য, সংহতি ও সহানুভূতিই শত্রুদের পরাস্ত করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। ১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইমাম খোমেনির নেতৃত্বে ইসলামি বিপ্লব চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে। এর মাধ্যমে দেশটি থেকে কয়েক হাজার বছরের রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা উৎখাত হয়ে যায়। আর তাই প্রতিবছর এ দিনটিকে ইরানে বিজয় দিবস হিসেবে উদ্‌যাপন করা হয়।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *