Skip to content

তৈরি পোশাক রফতানি ধরে রাখতে সক্রিয় হতে হবে দূতাবাসগুলোকে | বাণিজ্য

তৈরি পোশাক রফতানি ধরে রাখতে সক্রিয় হতে হবে দূতাবাসগুলোকে | বাণিজ্য

<![CDATA[

ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে ধস নামার পরও নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৭ বিলিয়ন ডলার পণ্য রফতানি করে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরে রেখেছেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। এ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অস্থিরতায় তৈরি পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে সক্রিয় করার কোনো বিকল্প দেখছেন না ব্যবসায়ীরা।

সদ্যবিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে উৎপাদন ও রফতানি শুরু করেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। কিন্তু অর্থবছরের শুরুতেই ডলার সংকটের মুখে সরকারের নানা বিধিনিষেধ আরোপের ফলে অনেকটা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে গার্মেন্টস শিল্প।

 

গত দুই অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে আয়ের চিত্র। ছবি: সময় সংবাদ

 

তবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুসারে, স্বস্তি ফিরেছে অর্থবছরের শেষদিকে। সংকট সত্ত্বেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ৪৬ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে; যা গত অর্থবছরের তুলনায় সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে রফতানি আয় হয়েছিল ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। যদিও গত বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার।

 

রেকর্ড রফতানি হয়েছে নিটওয়্যার পণ্য। ছবি: সময় সংবাদ

 

এবারও নিটওয়্যার পণ্য রফতানি রেকর্ড ছাড়িয়েছে। মোট রফতানি আয়ের মধ্যে ২৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার ছিল নিটওয়্যার পণ্য, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ২৩ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।

 

আরও পড়ুন: রফতানি আয় বৃদ্ধির কারণ কী?

 

বাকি ২১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার ওভেন পণ্য রফতানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছর ছিল ১৯ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।

 

গত তিন অর্থবছরে ওভেন পণ্য রফতানি করে আয়ের চিত্র। ছবি: সময় সংবাদ

 

আগে বাংলাদেশ থেকে কমদামি হিসেবে পরিচিত টি-শার্ট, ট্রাউজার এবং বেবি স্যুট সবচেয়ে বেশি রফতানি হতো। আর এসব পণ্যের ফ্রেইট অন বোর্ড (এফওবি) ছিল ১ থেকে ৭ ডলার। বিপরীতে বর্তমানে রফতানি হওয়ার জ্যাকেট-ওভেন প্যান্ট এবং লেডিস ফ্যাশন টপের এফওবি ১২ থেকে ৪০ ডলার পর্যন্ত। এ ছাড়া পুরোনো বাজারের পাশাপাশি সৃষ্টি হচ্ছে নতুন বাজার।

 

আগের তুলনায় বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি পণ্য রফতানি বেড়েছে। ছবি: সময় সংবাদ

 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘পুরো পৃথিবীতে যখন অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছে, তখন থেকেই কিন্তু আমরা নতুন বাজারের দিকে ধাবিত হয়েছি। গত ৩-৪ বছরে আমরা মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক নতুন বাজার ‍সৃষ্টি করেছি।’

 

তবে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে তৈরি পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে অবস্থিত আমাদের দূতাবাসে যারা কাজ করছেন তারা যদি আরেকটু সক্রিয়ভাবে কাজ করেন, তাহলে আমার মনে হয় আমরা এই খাতে আরও বেশি শক্তিশালীভাবে এগিয়ে যেতে পারব।’

 

আরও পড়ুন: দেশের রফতানি আয় বেড়েছে

 

তবে নতুন অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত অর্ডার আসছে না বলে দাবি করেন বিজিএমইএ-র প্রথম সহসভাপতি  সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের সক্ষমতার তুলনায় বর্তমানে আমাদের কাছে অর্ডার আছে মাত্র ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ। সে জন্য আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি।’

 

বিজিএমইএ জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঢাকা জোনের ১ হাজার ৮৩৯টি গার্মেন্টস কারখানা ৩৮ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার এবং চট্টগ্রামের ২৫৭টি গার্মেন্টস কারখানা ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য রফতানি করেছে।

 

কাজেই বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাজার যেমন পাল্টে গেছে, তেমনি ব্র্যান্ডের দামি পোশাক রফতানি করছেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। নতুন এ বাজার ধরে রাখতে সেসব দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *