<![CDATA[
বাঁচা-মরার ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক আর্জেন্টিনা। গোল না পেলেও তারা একাধিক সুযোগ তৈরি করেছে। অন্যদিকে মেসিদের একের পর এক আক্রমণে বেশ চাপে আছে পোল্যান্ড।
নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামে বুধবার (৩০ নভেম্বর) ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচটিতে প্রথম ২০ মিনিটে গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেন লিওনেল স্ক্যালোনির শিষ্যরা। ৭ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন লিওনেল মেসি। তবে তার নিচু শটটি চলে যায় ভয়চেখ সেষ্ণির হাতে।
আরও পড়ুন: পোল্যান্ডকে হারাতে কৌশলে পরিবর্তন স্ক্যালোনির
দুই মিনিট পর বাঁ প্রান্ত থেকে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার পাস দখলে নিয়েই ডান প্রান্ত দিয়ে পোল্যান্ডের ডি-বক্সে দ্রুত গতিতে ঢুকে পড়েন মেসি। সেখান থেকে তার নেওয়া জোরালো শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন সেষ্ণি। ১৭ মিনিটে ডি-বক্সে মার্কোস অ্যাকুনার জোরালো শট থাকেনি লক্ষ্যে। এক মিনিট পর তার হেড চলে যায় সরাসরি সেষ্ণির হাতে।
মেসিদের একের পর এক আক্রমণে শুরুর প্রথম ২০ মিনিট কোনো সুবিধাই করতে পারেনি রবার্ট লেভানদোভস্কিরা। আলবিসেলেস্তেদের নেওয়া ৪ শটের ২টিই ছিল লক্ষ্য বরাবর। বিপরীতে একটি লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়েছে পোল্যান্ড।
গ্রুপপর্ব টপকাতে মেসিরা যদি কোনো জটিলতার মধ্যে না পড়তে চায়, তাহলে পোল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ই একমাত্র উপায়। মানে শেষ ষোলোর ভাগ্য এখনও তাদের হাতেই আছে। তবে হেরে গেলেই সর্বনাশ, আকাশী-সাদাদের বিদায় নিশ্চিত।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা জিতবে, রোবটের ভবিষ্যদ্বাণী
পোল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করলেও নকআউটে ওঠার সুযোগ থাকছে আর্জেন্টিনার। সেক্ষেত্রে তাদের পয়েন্ট হবে ৪। পোলিশদের সঙ্গে ড্র করে আর্জেন্টাইনরা কামনা করবে সৌদি আরব যেন মেক্সিকোকে না হারাতে পারে। যদি আর্জেন্টিনা ড্র করে এবং সৌদি আরব জেতে, তাহলে আর্জেন্টিনা বাদ। পোল্যান্ড ও সৌদি পাবে শেষ ষোলোর টিকিট।
যদি কোনোভাবে আর্জেন্টিনা এবং মেক্সিকো কিংবা সৌদি আরবের পয়েন্ট সমান হয় তাহলে প্রথমে গোল পার্থক্য, পরে গোলের হিসাব বিবেচনা করা হবে। সেক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরবের পয়েন্ট ৪ হলে আর্জেন্টাইনরা গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় চলে যাবে শেষ ষোলোতে। তবে আর্জেন্টিনার ড্রয়ের পর মেক্সিকো জিতে গেলে দুই দলের পয়েন্ট সমান ৪ হবে। সেক্ষেত্রে মেক্সিকানরা ১ বা দুই গোলে জিতলে আর্জেন্টাইনরা গ্রুপ পর্ব শেষ করবে দ্বিতীয় হয়ে এবং মেক্সিকো হবে তৃতীয়।
যদি মেক্সিকো তিন গোলে জেতে তাহলে গ্রুপ নির্ধারণ হবে গোল পার্থক্যের হিসাবে, সেটাতেও মীমাংসা না হলে গোলসংখ্যা বিবেচনা করা হবে। আর চার গোলে জিতলে মেক্সিকো আর্জেন্টিনাকে পেছনে ফেলে উঠে যাবে নকআউটে।
আরও পড়ুন: মেসিকে আটকানোর পথ জানা নেই পোল্যান্ড কোচের
মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানও আর্জেন্টিনার পক্ষে। ১৯৬৬ সালে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল দুদল। সেবারের দেখায় দুদলের ম্যাচটি শেষ হয়েছিল ১-১ গোলের সমতায়। সব মিলিয়ে ১১ বার মুখোমুখি হয়ে আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছে মোট ৬ ম্যাচে। ৩ ম্যাচে জয় পেয়েছে পোল্যান্ড। বাকি দুই ম্যাচে জয় পায়নি কেউই।
বিশ্বকাপের মঞ্চে অবশ্য লড়াইটা হয়েছে সমানে সমান। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে প্রথমবারের দেখায় পোল্যান্ড ৩-২ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। ১৯৭৮ বিশ্বকাপেই ফের দেখা হয় দুদলের। এবার ২-০ গোলে পোলিশদের হারিয়ে প্রতিশোধ নেয় আর্জেন্টিনা। দুদলের মুখোমুখি লড়াইয়ে গোল করার দিক দিয়েও এগিয়ে আর্জেন্টিনা। এ ১১ ম্যাচে আর্জেন্টিনা গোল করেছে ১৮টি এবং হজম করেছে ১২টি।
তবে, পোল্যান্ডের জন্য ইতিবাচক হতে পারে একটি বিষয়। দুদলের সবশেষ লড়াইয়ে জয় পেয়েছিল পোলিশরাই। ২০১১ সালে সে দেখায় অবশ্য আর্জেন্টিনা মাঠে নেমেছিল দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে। আদ্রিয়ান মিয়েরজেজেভস্কি ও পাওয়েল ব্রোজেকের গোলে ২-১ ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল তারা। আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মার্কো রুবেন।
]]>